নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় প্রবাসী জামালের রক্তাক্ত মৃতদেহটি পরিবারের সদস্যরা গোপনে দাফন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগেই স্থানীয় বাসীর নিকট সংবাদ পেয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্ত্রী শারমীন আক্তার (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২৬ আগস্ট বুধবার সকালে নিজ বাড়ির বাথরুমে ভিতরে পরা প্রবাসী জামালের রক্তাক্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং লাশটি উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত জামাল ফতুল্লা থানার দাপাইদ্রাকপুর এলাকার রেইনবো মোড় এলাকার মৃত মো. আলীর পুত্র। সে দীর্ঘদিন সৌদি আরব ছিলো। দেড় বছর আগে সে দেশে ফিরে এসে আর সৌদি আরব ফিরে যায়নি।
ঘটনার বিবরনীতে মৃত জামাল মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (২০) জানান, ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে সে মাসদাইরস্থ নিজ শ্বশুরালয় থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তার বাবা রাত এগারোটার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। রাত আড়াইটার দিকে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে ডাইনিং রুমের আলো জ্বালানো দেখতে পেয়ে তা নিভাতে এসে দেখতে পায় যে তার বাবার মৃত দেহ বাথরুমের ভিতরে পরে রয়েছে। তখন সে তার মা সহ ছোট ভাইকে ডেকে তোলে। পরবর্তীতে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ডেকে তোলা হয়। সবাই এসে মৃতদেহটি বাথরুম থেকে বের করে নিয়ে আসে।
হাসপাতালে কেন নিয়ে যাওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়ে সামিয়া আক্তার বলেন, তার স্বামীকে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার জন্য বলা হলে তা না পাওয়ায় আর নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাছাড়া পরিবারের সকলে এবং পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারাও তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করায় তারা আর হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। তাই নিকটাত্মীয় স্বজনদের শলা পরামর্শে তাদের উপস্থিতিতে দাফনের ব্যবস্থা করেছিলো।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানায়, নিজ বাড়ির বাথরুমে পড়েছিলো প্রবাসী জামালের রক্তাক্ত মৃতদেহ। পরিবারের সদস্যরা গোপনে দাফন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলো। বুধবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিকট সংবাদ পেয়ে দাফনের পূর্বেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জামালের স্ত্রী শারমীন আক্তার (৪০) কে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে থানা পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়, পারিবারিক দ্বন্ধের জের ধরে জামালকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গোপনে দাফন কার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছিলো কিনা তা মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে। আটক স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তদন্ত শেষেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি দূর্ঘটনা। তবে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকান্ড বলেই পুলিশ ধারনা করছে।