নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : এবার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী খোকন প্রধানের বিরুদ্ধে ফতুল্লায় বিভিন্নস্থানে মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের শেল্টার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ফতুল্লা থানা ইদ্রাকপুর, আলীগঞ্জ,পাইলট স্কুল,রেলস্টেশন, শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় নিয়মিত মাদক কারবারীদের মাদক ব্যবসা এখন জমজমাট। আর এ নিয়ে ইতমধ্যেই বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয় মাদক বিক্রেতাদের সাথে খোকন প্রধানের আলাপচারিতার ভয়েস রেকর্ডও পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, এসব মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খোকন প্রধান আশ্রয় দিয়ে থাকেন। এমনকি খোকন প্রধানের নাম ব্যাবহার করে মাদক বিক্রি করে তারা। এদের মধ্যে রয়েছেন, সরদার বাড়ির ইলিয়াছ, বউবাজার এর টিকি মরা লিটন, খোজপাড়া সবুজ, বরিশাইল্লা বশির, খোজপাড়া হাসান, খোজপাড়া কুর্টি মামুন, খোজপাড়া রবিন, খোজপাড়া সজিব, খোজপাড়া মুসলিম, হক রোলিং গেইট এর ছবির, হক রোলিং গেইট আজাহার, কবরস্থান রোড শওকত, কবরস্থান নয়ন সহ আরো অনেকেই।
এ ব্যাপারে খোজপাড়ার খোরশেদ জানান, এই সব মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করে যাচ্ছেন খোকন প্রধান। রোলিং গেইট নিবাসী হোসেন জানান, আমাদের এলাকায় প্রতিদিন বিকেল হলেই মাদকের হাট বসে। ইদ্রাকপুর নিবাসী মোকলেস জানান, আমাদের এলাকা সহ আশে পাশে এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যাচ্ছে। এদের শেল্টার দাতা হচ্ছে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী খোকন প্রধান।
এ ব্যাপারে নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, এবং ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম এর সহযোগীতা কামনা করছে স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে খোকন প্রধানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র। আমি এসবে জড়িত না, আমি নির্দোষ। স্থানীয় কয়েকজন নেতা মাদক ব্যবসা করে, সারা দাপা এলাকার মানুষ তা জানে। হয়তো কেউ টাকার বিনিময়ে আমার ভয়েজ রেকর্ড ইডিট করে এসব ষড়যন্ত্র করতেছে। আমার বড় অপরাধ আমি মাদকের বিরুদ্ধে। এজন্যই আমার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র।
তবে তিনি কোন পত্রিকার সাথে সম্পৃত্ত আছেন? একাধিকবার জানতে চাওয়া হলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ায় তা আর জানা সম্ভব হয়নি।