নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল বলেছেন, প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান ছিলেন আমাদের নারায়ণগঞ্জের অহংকার। যিনি তার বংশ পরম্পরায় ধারাকাহিকতা বজায় রেখে জনগনের কল্যানে কাজ করে গেছেন। তার গুণে চার চার বার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে হয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবেও হয়েছেন নির্বাচিত। তিনি ছিলেন কালজয়ী নেতা। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমকে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নাসিম ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করেছি। মানুষের হয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় তা দেখেছি। আজ তিনি নেই, এটি ভাবতেও কষ্ট লাগে। তবে পুরনো অনেক স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। আজ ৬তম মৃত্যুবাষিকীতে প্রয়াত নাসিম ভাইকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। পাশাপাশি তার রুহের মাগফিরাত কাসনা করছি। আর সকলের কাছে তার জন্য দোয়া প্রত্যাশা করছি।
পরিশেষে সকলের উদ্দেশ্যে বলবো বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আমরা কিন্তু ভয়াবহ সময় কাটাচ্ছি। যেহেতু পবিত্র মাহে রমজান মাস চলমান, আপনার সকলেই বেশী বেশী আল্লাহকে ডাকুন, নামাজ পড়ে দোয়া করবেন। সরকারী নির্দেশ মেনে চলুন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩০এপ্রিল ভারতের রাজধানী দিল্লীর দেরাদুন শহরে থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন তিনি। সে সময় তাঁর মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সকল অঙ্গনে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রয়াত এ.কে.এম সামসুজ্জোহার পাঁচ সন্তানের মধ্যে জেষ্ঠ্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নাসিম ওসমান। ১৯৫৩ সালের ৩১ জুলাই তিনি জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের প্রাণের নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সুইসাইড স্কোয়াডে যুদ্ধ করেছেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর নববিবাহিতা বধূকে রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগদান করেন।
পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। প্রয়াত নাসিম ওসমান ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এবং ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে তিনি সর্বাধিক ৪ বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সদস্য। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তাঁর অকাল মৃত্যু পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাব রাখতে গিয়ে অজোড়ে কেঁদে ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।