নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : দেশের সকল ইউনিয়নে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবার সরকারি ঘোষণা আসার পর থেকেই সকল ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ চলছে এবং ইতোমধ্যে ২ পর্বে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত জানা যায়, দেশের সকল ইউনিয়নে আ’লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে সরকারি দলকে হিমশিম খেলেও বন্দর উপজেলাধীন ধামগড় ইউনিয়নে নৌকার একক প্রার্থী হিসেবে বন্দর উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদের নাম দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল ভোটার সহ সকল এলাকাবাসীর মুখে মুখে। অতি সম্প্রতি ধামগড় ইউনিয়ন আ:লীগের কার্যালয়ে অত্র কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা সকল সদস্যদের দেয়া গোপন ভোটের ভিত্তিতে আগামী দিনের নৌকার প্রার্থী নির্ধারনের কথা থাকলেও জাতীয় পার্টি নেতা আশরাফুল আলমকে আ’লীগ নেতা বানিয়ে ও মোটা অংকের টাকা দিয়ে আরও কয়েকজন ভোটারকে প্রভাবীত করে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে আলমাস ভূইয়া মাসুম আহম্মেদকে পরাজিত করে। সে থেকেই চাপা ক্ষোভ, দুঃখভরা হৃদয়ের জ্বলন শুরু হয় ধামগড়ের আপামর জনসাধারণের মধ্যে। তারা বিশ্বাসই করতে পারেনি যে নতুন আ’লীগে সংযোজন হওয়া আলমাস ভূইয়ার কাছে মাসুম আহম্মেদের পরাজয় ঘটবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে মাসুম আহম্মেদের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্দর থানা আ’লীগের সভাপতির নির্দেশে গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কাজ করছে ও অচিরেই এর একটি সমূহ সমাধান জনগনের কাছে স্পষ্ট করা হবে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ের উপর কয়েকটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বয়সী ভোটারের সাথে কথা বললে তারা জানায় ‘আমরা মাসুম আহম্মেদকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রহর গুণছি। মাসুম আহম্মেদ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে অন্য কারোর নাম আমাদের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না। যে ব্যক্তি সুদীর্ঘ কাল থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, যে ব্যক্তি কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, রাস্তা ঘাট উন্নয়নে ব্যাপক অনুদান দিচ্ছেন, যে ব্যক্তি সর্বদা ওয়াজ মাহফিল, খেলাধুলা, স্কুলের অনুষ্ঠানে সহায়তা করেছেন এবং নিজে উপস্থিত থেকে সর্বদা সবাইকে উৎসাহ যুগিয়েছেন, তিনিই হবেন আমাদের আগামী দিনের চেয়ারম্যান। আমরা সকলে মাসুম ভাইয়ের সাথে আছি এবং তাকে ভোট দিয়ে আমরা নির্বাচিত করবই ইনশাল্লাহ’।
মাসুম আহম্মেদের সম্পর্কে আরও জানা যায় যে, গত ইউপি নির্বাচনে অত্র ইউনিয়নে তিনি আ’লীগের মনোনীত একক প্রার্থী ছিলেন এবং খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এবার তার জয়ের বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের সকলে আশাবাদি। তিনি কামতাল-হালুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং না’গঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মিতব্য শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও এর সার্বিক নির্মাণ সহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মাসুম আহম্মেদের মত জনগণের প্রত্যাশিত প্রার্থীকেই নৌকা প্রতীক দেয়া হলে আ’লীগের বিজয় এই ইউনিয়নে সম্ভব বলে মনে করে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশ্লিষ্টরা।