নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : স্বামী হারা বৃদ্ধ মাকে ঘর ছাড়াসহ সম্পত্তি দখলের আনিত অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছেলে তানভীর আহমেদ সোহেল। ২৬ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৪টায় বন্দর প্রেসক্লাবে এ আয়োজন করা হয়। পারিবারিক জমিজমা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মত বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান। আদালতে যে রায় দিবে তা মেনে নিবেন বলে তিনি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধ মা ফরিদা বেগমের তৃতীয় ছেলে তানভীর আহমেদ সোহেল বলেন, কতিপয় ইন্ধন দাতাদের প্ররোচনায় আমার মা আমাকে ও আমার বন্ধু কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধানকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা কথা বলে সাংবাদিকদের কাছ থেকে সহমর্মিতা নেয়ার চেষ্টা করেছে মাত্র। আমার ধারনা কোন অপশক্তি কোন লোকের প্ররোচনায় কথিত সংবাদ সম্মেলন করেছে। যাতে কাউন্সিলর দুলাল প্রধানকে হেয় করা যায়।
সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের জমি আমার নামে নয়, এর পাওয়ার দেয়া আছে আমার বড় ভাই জাপান প্রবাসী শফিউর রহমান ভেনটির নামে। আমার মা আমার নামে এক শতক জমিও দেয়নি বা আমি কোন দলিলও করে নেইনি। সংবাদ সম্মেলন করে যেসকল অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সর্ম্পূণ মিথ্যা।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সোহেলের স্ত্রী সায়মা আহম্মেদ, চাচা রাশেদুল কবির ভগ্নিপতি আনোয়ার হোসেন, চাচাতো বোন শারমীন আমীর।
এর আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজড়িত কন্ঠে ফরিদা বেগম বলেন, আমাকে আমার ছেলে তানভীর আহমেদ সোহেল বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না। কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের প্রভাব বিস্তার করে ছেলে সোহেল, বউ সায়মা আহমেদ ও দেবরের মেয়ে শারমিন আমির মিলে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন করছে। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। সেই সাথে আমার অন্যান্য ছেলে-মেয়েদেরও সম্পত্তি ফেরত চাই।
এছাড়াও ছেলে সোহেলের স্ত্রী সায়মা আহমেদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয় না ছেলে সোহেল। ঢুকতে চাইলে আমার ছেলের স্ত্রী (সোহেলের) সায়মা আহমেদ আমাকে বলে তোর হাত পা কেটে দেব, আর এই ঘরে ঢুকতে গেলে হাত পা কেটে গুম করে ফেলবো।
বন্দর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষেতে সোহেলের স্ত্রী সায়মা আহমেদও কান্না জড়িত কন্ঠে জানায়, আমিও তো কারো মা। আমারও সন্তান আছে। উনি আমকে বিভিন্ন সময়ই অশালীন কথা বলত। আমাকে ঘর থেকে বের হয়ে অসামাজিক কাজ করার মত কথা বলত। অথচ আমার ব্যপারে তিনি নানা মিথ্যা কথা বলেছেন।
ওইদিন ফরিদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, র্যাবের মহা পরিচালক বেনজির আহমেদ, মাননীয় প্রধান মন্ত্রির মেয়ে পুতুল, শেখ রেহানা মেয়ে টিউলিব এদের নাম বিক্রি করে তাকে নানা ভাবে হুমকি ও হয়রানী করছে। এদের পরিচয় দিয়ে আমার দ্বিতীয় ছেলে সাব্বির আহমেদ হিমেল এর নামে বন্দর থানায় একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
এ অভিযোগের জবাবে ছেলে সোহেলের চাচাতো বোন শারমীন আমীর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আমি তো তাদেরকে মানহানী সহ সাইবার ক্রাইমে মামলা করব। এমন কথা বলে তারা আমাদের সম্মান হানী করেছে।