প্ররতারণা মামলায় তড়িঘড়ি করে সটকে পড়লেন কুতুববাগের জাকির শাহ!

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : আদালত থেকে তড়িঘড়ি করে  পালিয়ে গেলেন প্রতারণা মামলার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারিকৃত আসামী কুতুববাগ দরবার শরীফের পীর জাকির শাহ।

রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে আদালত পাড়ায় নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক অঞ্চল) আদালতের সামনে থেকে তড়িঘড়ি করে  পালিয়ে ফিরলেন প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানাকৃত (ওয়ারেন্ট) আসামী কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ।

জানা যায়, চেক জালিয়াতি করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ জামিনের জন্য পুটআপ দিয়ে গোপনে জামিন নেয়ার চেষ্টা করে। পরে বাদী পক্ষের আইনজীবী বিষয়টি জানতে পারলে জামিনের বিরোধীতা করে জামিন বাতিলের দরখাস্ত করেন। পরে জাকির শাহ জামিনের দরখাস্ত ট্রেক ব্যক করে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে জাকির শাহকে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ফজর আলীর দায়ের করা ৪০৬, ৪২০, ৫০৬ ধারা সিআর-১৫৮৯/১৯ নং মামলায় ওয়ারেন্টকৃত মামলায় কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, পারস্পরিক সুসম্পর্কের সুবাদে একসঙ্গে ব্যবসা করার লক্ষ্যে পীর জাকির শাহ ব্যবসায়ী ফজর আলীকে ৮ কোটি টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ব্যবসার উদ্দেশে সেই ৮ কোটি টাকা দেয়ার বিপরীতে ব্যবসায়ী ফজর আলীর কাছ থেকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা এবং ৬টি চেক গ্রহণ করেন।

অঙ্গীকারনামা ও চেকের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রদান করেন পীর জাকির শাহ। পরবর্তীকালে আর টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে ফজর আলী টাকা ফেরত দেয়। ওই সময় স্ট্যাম্প ও ৩টি চেক ফেরত দিলেও বাকি ৩টি চেক খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান পীর জাকির শাহ। ওই সময়ে স্ট্যাম্পের পেছনে চেক নম্বর উল্লেখ করে হারানো ৩টি চেক বাবদ কোনো দাবি-দাওয়া নেই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন তিনি এবং পরবর্তীকালে খুঁজে পেলে ফেরত দিবেন বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।

কিন্তু কিছুদিন পর ব্যবসায়ী ফজর আলী জানতে পারেন ওই চেক হারানো যায়নি এবং এগুলো নিয়ে পীর জাকির শাহ টাকা দাবি করার ষড়যন্ত্র করছেন।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে পীর জাকির শাহ এবং সহযোগী ইসমাইল হোসেন বাবুকে নিয়ে ভোজন করার পর চেক ফেরতের বিষয়ে কথা বললে পীর জাকির শাহ ও সহযোগী বাবু ৫ কোটি টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তার ক্ষতি হবে বলে হুমকিও দেয়া হয়।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ী ফজর আলী বাদী হয়ে কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক অঞ্চল) আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত