প্রধানমন্ত্রীর উপহারে ঘরের মালিক রাহেলা, রেনুর পিঠা উৎসবে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : প্রায় ঠুনঠুনে বুড়ো রাহেলা। তাঁর স্বামী মারা গেছে সেই বহু বছর হয়। সেসুবাধে ওই সময়টায় সংসারে উপার্জনের হাল তিনিই ধরেছিলেন। এভাবেই কোন রকম করে দুটি মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন। তবে তারাও এখন খুব একটা ভালো নেই। ভালো নেই বৃদ্ধ রাহেলা বেগম। পিঠা বিক্রি করেই কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি।

গৃহহীন রাহেলা র্দীঘ সময় জীবন কাটিয়েছেন ছাপড়া ঘরে। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার উপহার পেয়ে এখন সেই রাহেলা দুই শতাংশ জমির উপর নির্মাণাধীণ ছোট্ট ঘরের মালিক। বেসামাল উচ্ছসিত রাহেলা। বদলে গেছে তার জীবন চিত্র। তার মতই পাশের নির্মাণাধীণ ঘরের প্রতিবেশী রেনু খাতুন। সেই খুশিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারে ছোট্ট ঘরের মালিক রাহেলা ও রেনুর পিঠা উৎসবের আয়োজনের ডাকে ছুটে গেলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার এবং বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা সুলতানা নাসরিন। আর সে অনুভূতির কথা ২০ জানুয়ারি বুধবার বন্দর উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তা(ইউএনও) শুক্লা সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার পর ব্যপক সাড়া পেয়েছে সেই রাহেলা ও রেনুর জীবন বদলানো গল্প।

নারায়ণগঞ্জ বার্তার পাঠকদের জন্য নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো :

ফেসবুকে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত আইডিতে লিখেছেন, দুপুর দুইটার দিকে ইউপি সচিবের নম্বর থেকে ফোন, হ্যালো বলতেই ঐ প্রান্তে , আম্মা আমি রাহেলা , ঐ যে আমারে ঘর দিছেননি আমি সেই রাহেলা , ১১নম্বর ঘরটা আমার । আম্মা আপনার জন্য পিঠা বানাই আনছি নতুন বাড়িতে আপনি ছোট আম্মা (এসি ল্যান্ড) রে নিয়া আইবেন কখন ? এক নি:শ্বাসে কথাগুলো বললেন। বললাম আমি আসতেছি আপনার ছোট আম্মারে নিয়া আমার পাশের জন রাহেলা বেগম । বয়স দেখে আন্দাজ করা যায় । স্বামী মারা গেছে অনেক বছর , দুই মেয়ে বিয়ে হয়েছে তাদের নিজেদেরই চলে না। রাহেলা বেগম পিঠা বিক্রি করেন, একটা ছাপড়া ঘরে ভাড়া থাকেন।

যে নির্মাণধীন ঘরের বারান্দায় আমরা বসে পিঠা খাচ্ছি এটা রাহেলাকে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার , ১১ নম্বর বাড়ি ! এখনো কাজ শেষ হয়নি কিন্তু কত মায়া রাহেলা বেগমের ! এসি ল্যান্ডের পাশে বসা রেনু তারও রাহেলা বেগমের মত অবস্থা কিন্তু তারা এখন দুই শতাংশ জমি এবং একটি ছোট্ট বাড়ির মালিক ! প্রতিদিন সারাদেশের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত ইউএনও দের ওয়ালে দেখি রঙ্গিন সব ঘর ! সব ঘরের রঙ্গিন সব স্বপ্ন ! স্বপ্ন সত্যি হবার গল্প ! অন্য উপজেলার তুলনায় আমার উপজেলায় ঘরের সংখ্যা কম ৩৫ টি কিন্তু ৩৫ জন মানুষের ভালবাসা সব ছাপিয়ে দিয়েছে । অনুভব করি আমার সহকর্মীরা এর মধ্য দিয়ে কত মানুষের দোয়া নিয়ে যাচ্ছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই মানুষগুলো প্রাণ ভরে দোয়া করে। এই ভূমি/গৃহহীন মানুষগুলো যখন তাদের স্বপ্নের দেয়াল ছুঁয়ে দেখে , নতুন আনা লাল/সবুজ টিন। গুলো ছুঁয়ে দেখে ওদের চোখে সুখ ছিটকে পড়ে। মনের ভিতরের খুশি তারা চেপে রাখতে পারে না , বলে ফেলে ! আমি , আমরা কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই দোয়া পাওয়ার বিশাল সুযোগে তিনি আমাদের যুক্ত করেছেন । দিন শেষে রাহেলা বেগম আর রেনু খাতুনের মত মানুষের আমাদের জন্য নিজ হাতে পিঠা বানিয়ে খাওয়ানোর এই ভালবাসা শুধু ভালবাসা না আমাদের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার !!!

add-content

আরও খবর

পঠিত