পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মাষ্টার দেলুর অর্থের যোগানদাতা কে এই শফিউল্লাহ ?

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : সিদ্ধিরগঞ্জের দূধর্ষ সন্ত্রাসী, নারী পাচারকারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের টাকার যোগানদাতা ও ভয়ংঙ্কর কিলার লালনকারী হচ্ছে শফিউল্লাহ (৪০)। নেপথ্যে থেকে নিরব ও ঠান্ডা মাথার এ সন্ত্রাসী কুমিল্লা, যশোর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে গড়ে তুলেছেন কয়েকটি সিন্ডিকেট। তাদের দিয়ে নিয়ন্ত্রন করছে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা। এ ছাড়াও তার রয়েছে কয়েকটি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসা করিয়ে এলাকায় ভালো মানুষের আড়ালে অন্ধকার জগতের ভয়ংঙ্কর রূপ ধারন করছে শফিল্লাহ। এলাকাবাসী অভিযোগ ভালো মানুুষের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই খারাপ মানুষটাকে আইনের আওয়াত আনা হলে সমাজ থেকে অপরাধ কিছুটা হলেও লাঘব পাবে।

জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল পাঠানটুলী রেললাইল মসজিদ সংলগ্ন এলাকার কালু মিয়ার ছেলে শফিউল্লাহ কয়েক বছর আগের বিদেশে পাড়ি জমায়। এর পর থেকেই শফিউল্লাহ আদম ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। গড়ে তুলে কুমিল্লা, যশোর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নারীদের বিদেশে পাঠিয়ে পাচারকারী হাতে তুলে দেয়। প্রতিবাদ করলে বিদেশেই হত্যা করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এমনি একটা ঘটনা ঘটে ষশোরে। এদিকে শফিউল্লাহ আইলপাড়া এলাকায় চিহ্নিত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের  তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন দেলু, জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত দূধর্ষ অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী কিলার মাষ্টার দেলুর, আরামবাগ এলাকায় দূধর্ষ সন্ত্রাসী ১৭টি মামলার আসামী শাজাহান সরকার সাজু ও বন্দর লক্ষখোলা এলাকার জানে আলমকে অর্থ অর্থের মাদক ব্যবসা করিয়ে থাকে। বিনিময়ে তার নারী পাচার কারী ও সন্ত্রাসী পথে যাতে কেই কাটা না হতে পারে ওই সব সন্ত্রাসীরা তা দেখ বার করে।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এমএ মান্নান ভূঁইয়ার উপর হামলা কারী দেলু ও মাষ্টার দেলু ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টার শফিউল্লার পাঠানটুলী বাড়িতে বসে মিটিং করে তার পর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে প্রতিবাদ করলেও মাষ্টার দেলু ও দেলোয়ার হোসেন দেলুর অর্থের গডফাদারের নাম জানা যায়নি।

এদিকে পাঠানটুলী এলাকার ৫৫ বছরে এক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শফিউল্লাহ কয়েক বছর আগে অস্ত্র ব্যবসা করতো। পাঠনটুলী এলাকার একটি মারামারির ঘটনার পরে বিদেশে চলে যায়। তার পর থেকেই দেশে ও বিদেশে যাওয়া আশা করে। ভালো মানুষের আড়ালে একটা ভয়ংঙ্ক সন্ত্রাসী শফিউল্লাহ আমাদের এলাকায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শফিউল্লাহ বিদেশ থেকে বাড়ি আসলে রাতে তার বাড়িতে লোক জনের আনা গোনা দেখা যেত। তবে তারা এলাকার ছেলে পেলে বলে মনে হত না। এ ভয়ংঙ্কর মানুষটাকে আইনের আওতায় নেওয়া দরকার।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত