নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (প্রেসবিজ্ঞপ্তি) :খানপুর হাসপাতাল মোড় ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয় সংলগ্ন মেট্রোহল মোড়ে অটোবাইক হতে পুলিশের বেপরোয়া চাদাবাজির তিব্র প্রতিবাদ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিনং-ডি-২৩০২এর সাধারণ সম্পাদক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আবু হাসান টিপু।
তিনি বলেছেন, সড়ক পথে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের সামনে প্রকাশ্যে কালির বাজারগামী অটোবাইক হতে দুই কিস্তিতে দিন প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে পুলিশ। চাঁদা আদায়কারী পুলিশদের চেলেঞ্জ করলে তারা পরিস্কার জবাব দেন সদর থানার খরচ না দিলে এ রুটে কোন অটোবাইককে চলাচল করতে দেয়া হবে না। কোন অটোবাইক চালক যদি চাঁদা দিতে অস্বিকার করে তবে শারিরিক লাঞ্ছনাসহ চাকায় রড ঢুকিয়ে গোটা অটোবাইকটিকেই চলাচলের অযোগ্য করে দেয়; এছাড়াও থানায় নিয়ে গিয়ে অটোবাইক আটকিয়ে রেখে হাজার হাজার টাকা উৎকোচ হাতিয়ে নেয়। এমতাবস্থায় অসহায় শ্রমিকদের চাঁদা দেয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা থাকে না। আর এই সকল ঘুষখোর পুলিশ সদস্যদের কারণেই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রসাশন আজ বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ৩ আগষ্ট বুধবার সকালে হাজীগঞ্জস্থ কিল্লার মাঠে সিদ্ধিরগঞ্জ টু নারায়ণগঞ্জ অটোবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হাসান টিপু বলেন, সাম্প্রতিক কালের প্রকাশিত বিআরটিএ-এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাষাঢ়া কিংবা কালির বাজারে অটোবাইক চলাচলে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তথাপি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন অতি উৎসাহিত হয়ে এবং কখনো সিটিকর্পোরেশনের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে এই চাঁদাবাজির আয়োজন করে করছে। তিনি অনতিবিলম্বে এই চাঁবাজি বন্ধের দাবী করে বলেছেন, অটোবাইক হতে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে অটোবাইক শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ প্রতিরোধে যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রসাশনকেই দায়ী থাকতে হবে।
সামসুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পরিবহন শ্রমিকনেতা বাবুল মিয়া, পাবেল সরদার, জব্বার মিয়া, রফিক আহমেদ, ঈব্রাহীম খলিল প্রমূখ।