নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদের সম্ভাব্য প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জনপ্রিয় তরুণ আইনজীবী মাজহারুল আলম খানকে সম্ভাবনার উজ্জল তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন বন্দরবাসী। এবার আপন প্রচেষ্টায় নিজেদের উন্নয়ন চাহিদা পূরণ করতে চান বন্দরবাসী। আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বন্দরের ১৯ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ডের যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক এমনটাই প্রত্যাশা ছিল স্থানীয় বিশিষ্টজনদের। অ্যাডভোকেট মাজহারুল আলম খান পাভেলকেই তারা সেই অর্থে আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে বেছে নিতে বন্দরের সর্বস্তরের সকলের প্রতি করেছন আহ্বান।
তাদের মন্তব্য, ঘরের মানুষ নিজেদের অভাবটুকু বুঝবে। কোন উন্নয়ন আগে করলে চির অবহেলিত এই বন্দরবাসী দ্রুত আর্থিক সামাজিক এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে সফল এবং শিল্প সমৃদ্ধতায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে, সেই দিক বিবেচনা রাখবে। যা এ যাবৎ অন্য কোন জনপ্রতিনিধিকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন স্থানীয় জনগন। অনেকে আবার বন্দরের কাঁদামাটিতে জন্ম হলেও নিজের জন্মভূমি ছেড়ে যুগের পর যুগ পড়ে আছেন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের আলিশান ভবনে। যারা মাঝে-মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে সদর থেকে বন্দরে আসেন। আবার অনেকে আছেন থাকেন ঢাকায়,তাই শীতলক্ষ্যার উপর দিয়ে প্রাইভেটে চড়ে কাঁচপুর ব্রীজ পেরিয়ে মদনপুর হয়ে আসেন বন্দরে। শুধুমাত্র এই একটা নদীর কারনে বন্দরবাসী যে কতটা অবহেলিত এবং দূর্ভোগের শিকার তা তারা এই ক্ষানিক সময়ে বন্দর অবস্থান করে ভূক্তভোগীদের কথা শুনে যতটুকুই বোঝেন নারায়ণগঞ্জে বা ঢাকায় ফিরে যেতেই তা ভুলে যান। যে কারনে বন্দরের এমন প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করেও ইতোপূর্বে বাস্তবায়ন হয়নি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘকালের প্রানের দাবী সদর-বন্দর যোগাযোগে শীতলক্ষ্যা সেতু। বন্দরের লোক ভেবে যাদের ভোট দিয়ে মানুষ নিজেদের উন্নয়ন প্রত্যাশা করেছেন, পর্যায়ক্রমে চেয়ারের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তারা বন্দরবাসীর সাথে করেছেন কথার বরখেলাপ।
তারা বলেন, ঘরের ছেলেকে মেয়র নির্বাচিত করে আসুন আমরা শীতলক্ষ্যা সেতুর বাস্তবায়নসহ শিল্পাঞ্চল এই বন্দরকে আমরা তার যথা বর্ণিত রূপে অধিষ্ঠিত করি। প্রতিনিয়ত আমরা শিল্পকর পরিশোধ করে যাচ্ছি কিন্তু যোগাযোগ অব্যবস্থার কারনে দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বন্দরের অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রতিষ্ঠান। পরে আছে অনেক সরকারি বে-সরকারি অনাবাদী জামি। আবার সেই যোগাযোগ অব্যবস্থার কারনেই গড়ে ওঠছেনা নতুন কোন শিল্প-কারখানা। অথচ এসব জেনে শুনে বুঝেও এ যাবৎ পর্যায়ক্রমে নির্বাচত হওয়া জনপ্রতিনিধিরা শীতলক্ষ্যা সেতুর বাস্তবায়নকে ততটা গুরুত্ব আরোপ করেননি, বরং বন্দরবাসীর এই প্রানের দাবীকে পুঁজি করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে করেছেন ছল-চাতুরী। অতএব আমাদের ভাগ্যোন্নয়ন নিজেদেরই করতে হবে এবং সে লক্ষ্যে পরের ছেলে নয় ঘরের ছেলেকেই নির্বাচিত করতে হবে আসন্ন সিটি নির্বাচনে।
যে কারনে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে বন্দরের নগর পঞ্চায়েত তথা খাঁন পরিবারের উচ্চ শিক্ষিত সুদর্শন তারকা, স্বীয় প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে আপন প্রতিষ্ঠায় বেড়ে ওঠা উদীয়মান তরুণ, বিশিষ্ট আইনজীবী, অভিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভেয়ার (জমি মাপক তথা আমিন), সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লিখক, স্বনামধন্য জমি ও ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী, অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল, বিচক্ষণ, শ্রেণী বিভেদে সমাজের কাছে স্রেহধন্য ও শ্রদ্ধাশীল এবং সু-পরিচয়ে গ্রহণযোগ্য অ্যাডভোকেট মাজহারুল আলম খাঁন পাভেলকে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান এবং তার এই নির্বাচনী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বন্দরের নগর এলাকার সাধারণ জনতা। তাদের মতে পরের হাতে নয় নিজেদের হাতে উন্নয়ন ক্ষমতা এবং চির অবহেলিত জনপদ বন্দরকে উন্নয়ন ও শিল্প সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার প্রত্যয়কে কাজে লাগিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।