নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : পরকীয়ার কথা স্ত্রীকে বলে দেয়ায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে রশি দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নির্যাতনকালে শিক্ষার্থী বারবার জ্ঞান হারালে তাকে পানি ছিনিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আবারো নির্যাতন করে পাষণ্ড সেই শিক্ষক। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ওই মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছেন। বুধবার সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার পশ্চিম কালাদী এলাকায় ঘটে এই বর্বর নির্যাতনের ঘটনা।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা আজিজ মোল্লা জানান, তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী থানাধীন গরজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে কাঞ্চন এলাকার মজিবুরের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে এখানে ঝাল মুড়ি বিক্রি করেন জীবিকা নির্বাহ করেন।
তার চার সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে রবিউল ইসলাম মোল্লাকে কোরআনের হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে তিনি স্থানীয় কালাদী মদিনা মসজিদের হিফজখানায় কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি করান। ওই মাদরাসার শিক্ষক শাহজালাল স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানায়। এ নিয়ে শাহজালালের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।
এর জের ধরে বুধবার সকালে স্ত্রীকে পরকীয়ার খবর বলার অভিযোগে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে শিক্ষার্থী রবিউলকে ডেকে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী জ্ঞান হারালে তার চোখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আবারো নির্যাতন করে পাষণ্ড সেই শিক্ষক। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের লোকজন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা আজিজ মোল্লা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মাওলানা শাহজালালকে গ্রেফতার করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহামুদুল হাসান বলেন, হিফজখানার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত মাওলানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।