নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : পরকিয়া প্রেমের জের ধরে স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে সোনিয়া আক্তার (২৫) নামক এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। নিহত গৃহবধূ সোনিয়া বরগুনা জেলার আমতলি থানার দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের সোহরাব শিকদারের মেয়ে। ২২ই জুন মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও কুতুব চেয়ারম্যানের ভাড়াটিয়া বাসায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে আজ ২৩ই জুন বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় এবং নিহত গৃহবধূর স্বামী মো. রিমন চৌকিদার (২৮) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের খালু মো. আনোয়ার হোসেন সোহাগ (৩০) বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বিগত চার বছর পূর্বে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত আজিজ চৌকিদারের পুত্র রিমন চৌকিদারের সাথে বরগুনা জেলার আমতলি থানার দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের সোহরাব শিকদারের মেয়ে নিহত গৃহবধূ সোনিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তানাদি নেই। বিয়ের পর থেকে তারা বর্তমান ঠিকানার বসবাসের পাশাপাশি উভয়েই গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো। গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে গ্রেফতারকৃত রিমন চৌকিদার অপর একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই মাস পূর্বে রিমন নিহত গৃহবধূ কে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিহিত জামায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় ও পারিবারিক ভাবে বিচার শালিসী হয়। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এক পর্যায়ে তারা উভয়েই ঘুমিয়ে পরে। রাতের কোন এক সময়ে নিহত গৃহবধূ ঘরের ফ্যানের সাথে নিজ ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সকাল ছয়টার দিকে গ্রেফতারকৃত রিমন চৌকিদার আশপাশের ভাড়াটিয়াদের চিৎকার করে জানায় যে, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রিমন কে গ্রেফতার করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।