পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, নিজেকে ধন্য মনে করছি : সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পূরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। যা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের একটির মাইল ফলক হতে যাচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন শুনে মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে ছিলাম। ভাষনের শেষ অংশটুকু ছিল এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটে ছিল যখন বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ এনে তাদের অর্থায়ন বাতিল করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। এরপর একটি ঈদে আমরা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা উনার সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিলাম। আমি সেখানে বিকেএমইএ এর সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। এফবিসিসিআই সভাপতি সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ উচ্চ স্বরে আমার নাম উল্লেখ করে বলেন, সেলিম তোমরা ব্যবসায়ীরা আমাকে সহযোগীতা করো ইনশাল্লাহ, আমরা নিজের টাকাতেই পদ্মা সেতু বানাবো। যেমনটি বঙ্গবন্ধু ভাষনে বলে ছিলেন তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এমন ঘোষণাতেই আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন সোনার বাংলা। আর প্রধানমন্ত্রীর সেদিন এমন ঘোষণাতেই আজকে পদ্মসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

একজন কৃষক হিসেবে আমি মনে করি, আমার বহুদিনের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। খুলনায় আমার কৃষি খামার হতে উৎপাদিত পন্য শুধুমাত্র যাতায়াতের অসুবিধার কারণে অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিতে হতো। এখন লাখ লাখ কৃষক তার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করে লাভবান হবেন।

একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হিসেবে বলবো, আরএমজি সেক্টরে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র চট্রগ্রাম বন্দরের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আমদানী রপ্তানি দুটিতেই ব্যাঘাত ঘটতো এবং আমরা আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। ইতোমধ্যে মংলা বন্দর প্রস্তুত। সেতুটি উদ্বোধন হলে আমরা মংলা বন্দর ব্যবহার করে রপ্তানি ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলায় পরিণত হবে। আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আছি যিনি ইতোমধ্যে বিশ্ব নন্দিত হয়েছেন। তিনি সমুদ্র জয় করেছেন। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করে দেশকে ডিজিটালাইজেশন করেছেন। আজকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের কোটি কোটি মানুষের দোয়া পাবেন এবং আল্লাহ তাকে সুস্থ এবং দান করবেন বলেন আশা রাখি। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজের পায়ে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি এবং পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে পারবো তাই নিজেকে ধন্য মনে করছি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগীতা করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

add-content

আরও খবর

পঠিত