নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, অনির্বাচিত সরকারের কারণে দেশ ও জাতি আজ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এ সরকারের কাছে মানবতার কোন মূল্য নেই। তুরস্ক থেকে রাষ্ট্র প্রধানরা আসতে পারলেও আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এখনো রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়াঁনোর সময় পান নাই। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে সকলের সহযোগিতা জানায়। বন্দরবাসী উন্নয়নে শীতলক্ষ্যা সেতুর এখন প্রাণের দাবি। বন্দরবাসী এখনো খেয়াঘাটে দিয়ে টাকা দিয়ে পারাপার করছে। বন্দরে ১০০ শয্যার হাসপাতাল এখন সময়ের দাবি।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, মনোয়ন চাওয়া কর্মীদের অধিকার। বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ সফল করতে আপনাদের সমর্থন পেলে আসন্ন নির্বাচনের তূণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে অংশ নিতে চাই। তবে মনোয়ণের লোভে আমরা নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করবো না। কাদাঁছোড়া ছুড়ি করে দলের বদনাম করব না, দলের কাজ করবো। নেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবে, যাকে দিবে তার পাশে থাকবো আমরা। কোন সুবিধাভোগী মানুষকে বিএনপির মনোয়ন দেয়া হবে না। আমাকে না দিন, কিন্তু তৃণমূলকে থেকে আগামীতে সদর বন্দর আসনে প্রার্থী দিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটির গঠন নিয়ে খোরশেদ আরো বলেন, আমাকে পছন্দ না করলে আমার নিচে যুগ্ম আহবায়কদের নিয়ে কমিটি গঠন করুন। আমাকে সভাপতি করে অন্য দল থেকে সাধারণ সম্পাদক বানাতে তা কিন্তু মেনে নিব না। আন্দোলন সংগ্রামে মহানগর যুবদলের অধিকার বেশি, অনেক মামলা হামলা ও গ্রেপ্তার হয়েছি। শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের ১০ম কারামুক্তি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বন্দর থানা ও উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও ঈদ পূর্ণমিলনীতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সাগর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সানোয়ার হোসেন সানু, মাসুদ রানা, মমতাজ উদ্দিন মন্Íু, জুয়েল রানা, জুয়েল প্রধান, সাগর প্রধান, আকতার হোসেন খোকন শাহ ও রানা মুজিব, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বন্দর শহর বিএনপির সভাপতি নূর মোহাম্মদ পনেছ, সাধারণ সম্পাতক সোঃ সেলিম, সহ-সহ-সভাপতি ভিক্টর মৃধা, মোঃ হবি, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী, সহ-সভাপতি ফিরোজ, ফারুক হোসেন, খান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তুষার, সদস্য নুরুল আলম খন্দকার।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সানোয়ার হোসেন বলেন, বন্দরে বিএনপি নামে সরকারের দালালমুক্ত করতে হবে। তা না হলে নারায়ণগঞ্জের এই আসনে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হতে পারবে না। যারা এরশাদের জনসভায় নিজ দলের লোক নিয়ে মিছিল যায়। তারা বিএনপি নেতা বলে আমি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, সরকার পতন আন্দোলনে আমরা যুবদল মিছিল মিটিং, হামলা-মামলা শিকার হয়েছি। সেই কারণে আগামীতে কমিটিতে খোরশেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদল কমিটি চাই।
প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সাগর বলেছেন, কোন সুবিধাবাদীকে বিএনপির মনোয়ন নিতে দেয়া হবে না। বিএনপির তৃণমূলকে সদর বন্দর আসনের এমপি প্রার্থী দিতে হবে। কোন সরকারের দালাল পরিবারের কোন প্রার্থীতা দেয়া সম্ভবনা নাই। বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশের যে সরকার বিরোধী আন্দোলন দিতে তা নিয়ে মাঠে থাকতে হবে। আওয়ামীলীগ আর কোন দিন ক্ষমতা আসতে পারবে না। তাই তারা মনের কৌশলে বক্তব্য দিয়ে দেশের সাথে ধোকাবাজী করছে। পরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সকল নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাবদী এলাকায় গণসংযোগ করে সাধারণ মানুষের সাথে কৌশল বিনিময় করে।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রিপন, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ খান, জাহিদ খন্দকার, মোঃ শাহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব খন্দকার, প্রচার সম্পাদক আশরাফউদ্দিন, সদস্য নূর মোহাম্মদ, নূর হোসেন, হালিম, বাবুল মোহাম্মদ, মনির, জনি খন্দকার, আব্দুল্লাহ। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল রাব্বি, মামুন, হারুণ, মিলন ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১১নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি ইছলেহউদ্দিন ইছা, সাংগঠনিক সম্পাদক লিমন সরকার, প্রচার সম্পাদক ইমন ও সদস্য শাহজাহান। ১২নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসান জুলহাস, যুগ্ম সম্পাদক মুহিন আলম রিপন, প্রচার সম্পাদক জীবন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আব্দুর আউয়াল। ১৩নং ওয়ার্ড সভাপতি সরকার মজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদ, সহ-সভাপতি সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক মুসা মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মিঠু আহম্মেদ, ক্রীড়া সম্পাদক আফতাব উদ্দিন, সদস্য আলমগীর উদ্দিন, রানা মুন্সি। ১৪নং ওয়াড যুবদল সভাপতি পারভেজ আলম, যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদীন। ১৫নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আমির হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি, সহ-সভাপতি সাঈদ ও যুগ্ম সম্পাদক নূরুল ইসলাম। ১৬নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা সিকদার বাপ্পী, সাব্বির আহম্মেদ শহীদ, রবিন খান, ফয়সাল, তয়ন, পায়েল ও ফয়সাল। ১৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সালাউদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক পলাশ প্রধান সুমন ও সহ-সভাপতি আকতার হোসেন। ১৮নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি জানে আলম দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আলফু প্রধান ও প্রচার সম্পাদক হালিম প্রধান। ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল রহমান আকমাল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম রিপন, মহিলাদল নেত্রী নাজমা বেগম ও নাসিমা বেগম। ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।