নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, নাসিম ওসমান সেতুর কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ। এখন সড়কের কাজ বাকি। বন্দরে আমার ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে আমি স্কুল নির্মাণ করতে পেরেছি। আমরা দুটো স্কুল সরকারি করতে পেরেছি। আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি। নির্বাচনের সময় কিছু ভুল বোঝাবুঝি হলেও আমরা এখন আবারও সবাই ঐক্যবদ্ধ। স্কুলগুলো দুয়েকদিনের মধ্যে আবারও খুলে দেয়া হচ্ছে। তাই আমি স্কুলগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছি। আমাদের দায়িত্ব আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন দাঁড়িয়ে যায়। ১৯ই ফেব্রুয়ারি শনিবার বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের ত্রিবেনী এলাকায় অবস্থিত শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একেএম শামসুজ্জোহার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে একথা বলেন তিনি।
দোয়া ও মিলাদের পূর্বে স্কুলে মরহুম শামসুজ্জোহার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার দুই ছেলে এমপি একেএম সেলিম ওসমান ও এমপি একেএম শামীম ওসমান সহ আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। দোয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনার শুরুতে মরহুম একেএম শামসুজ্জোহার স্মৃতিচারন করেন বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ।
সেলিম ওসমান বলেন, সেদিন চেয়্যারম্যান দেলোয়ার বলেছেন ওসমান পরিবার ছাড়া চিনি না। এরশাদ নারায়ণগঞ্জে এসে বলেছিল নারায়ণগঞ্জে কোন পার্টি নেই, নারায়ণগঞ্জে ওসমান পার্টি। আমার বাবার অত্যন্ত পরিশ্রমের আদমজী জুটমিল। সবগুলো মিল তিনি চালু করেছিলেন। ৯৬ সাল পর্যন্ত সে মিলগুলো চলেছে। কিন্তু কি এক করনে এ মিল গুলো বন্ধ করে বিক্রি করে দেয়া হল। আমাদের উন্নয়ন চলছে, উন্নয়নের সাথে আপোষ নেই।
তিনি আরও বলেন, বন্দরের সাবদিতে ফুলের চাষ হচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের মূল্যায়ন করতে পারিনি। আমি সকলের প্রতি বন্দরের উন্নয়ন কমিটি করার অনুরোধ করেছি। সকলে এই কমিটিতে কাজ করবেন। আমাদের ১৫১ জনের উন্নয়ন কমিটি হবে। সেখান থেকে ১০০১ জনের কমিটি হবে।
এমপি আরও বলেন, আমরা থাকবো না। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটা দিয়ে যেতে পারলে লাভ হবে। আমার দাদা ও বাবা এই এলাকায় কাজ করেছেন। আজকে পয়ত্রিশ বছর তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমার বড় ভাই আমার মা তারাও চলে গেছেন। আমার বড় ভাই নিজের নতুন বউকে ঘরে রেখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে চলে গেলেন। আমার মা বলেছিলেন তুমি এবার মানুষের জন্য কাজ করবে। তুমি নাসিমের শূন্যস্থানটা পূরণ করবে। আমি কোন মার্কা চাইনি। সিটটা লাঙ্গলের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়বার আমি নির্বাচন করবো না, কিন্তু আপার কাছ থেকে নির্দেশনা আসলো আমাকে সত্যি আপা বলে থাকলে তোমাকে নির্বাচন করতেই হবে। এর পরে থাকবো কিনা জানি না। আমাদের মানুষ তৈরি করে দিয়ে যেতে হবে।
সেলিম ওসমান বলেন, শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। কাল রাতে তার শরীরের অবস্থা দেখে বলেছি তোমার শরীর ভাল না থাকলে যাওয়ার দরকার নেই। ও বলল না। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। নাসিম ওসমান সৌভাগ্যবান। রমজানের শেষে তার মৃত্যুবার্ষিকী। আমরা তখন দেখব কি করা যায়। দোয়া করবেন আমাদের বাচ্চারা যেন আবারও লেখাপড়া করতে পারে। তারা যেন অটোপাশ করে বের না হয়। রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকুক। আসুন আমরা সকলের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারি। আপনারা আমাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন।
দোয়ায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তা কুদরত এ খোদা, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিপক কুমার সাহা, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, জেলা যুব সংহতির আহবায়ক রিপন ভাওয়াল, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ গাজী সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা খান মাসুদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।