নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নিখোঁজের ৫ দিন পর নিখোঁজ হওয়া চাউল ব্যবসায়ী মাসুদ রানার লাশ উদ্ধার করেছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। রবিবার সকালে বালু নদের দক্ষিণ পাড়া ইষ্টার্ণ পেপার মিলের সামনে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে হেলেনা আক্তার নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে, গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় তিনি নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত নয়টার দিকে তার কাছে মোবাইল আসে। পরে সে বের হয় যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। পরিবারের লোকজন আরো জানান, তার সঙ্গে কারো কোন শত্রুতা ছিলোনা। তার মাদ্রাসা রোডে চাউলের আড়ৎ, বরুণা বাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসা ও অটো রিকসার ব্যবসা ছিলো। এছাড়া সে জমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। ব্যবসায়িক দ্বন্ধের কারণেই দুর্বৃত্তরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে পারিবারিকভাবে ধারণা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রিকসা চালকের বরাত দিয়ে পরিবারের লোকজন জানান, নিখোঁজ হওয়ার রাতে মাঝিনা বটতলা এলাকায় কালো শার্ট ও জ্যাকেট পড়া ৪ জন যুবকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে খিঁলগাও থানার ইদারকান্দি এলাকার ওয়াসকুরণি নামে এক ব্যক্তি ছিলো। তার সঙ্গে নিহত মাসুদ রানার জমিজমার ব্যবসা ছিলো। প্রসঙ্গত, ইদারকান্দি গ্রামটি বালু নদের তীর ঘেঁষা। অপর একটি সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতে মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে যে কল আসে সেটি ছিলো রাতালদিয়া এলাকার মাদকস¤্রাজ্ঞী ছলে বেগম ওরফে বিন্দু মাসি। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুলিশের কাছে বারবার ধর্ণা দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীর সাথে কারো শত্রুতা ছিলো না। সে ব্যবসা করতো, আর বাড়িতে সময় কাটাতো। কেউ পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছে। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন বলেন, এখনো কিছু বুঝা যাচ্ছে না। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।