না.গঞ্জে ডি‌সি’র নাম ব‌লে শিক্ষ‌ক বা‌তেনের কারসাজি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা লায়লা আক্তার‌কে জোরপুর্বক পদত‌্যা‌গের প‌রেও থে‌মে নেই কুচ‌ক্রিমহল। এবার লায়লা হটাও মিশ‌নে ষড়যন্ত্রকারী‌দের ম‌ধ্যে আরেক শিক্ষ‌কের নাম উঠে এসেছে। যার নাম আব্দুল বা‌তেন। যি‌নি নি‌জেও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠা‌নেরই একজন সি‌নিয়র শিক্ষক।

ত‌বে সি‌নিয়র শিক্ষক হ‌লেও অপর সি‌নিয়র শিক্ষক‌কে সম্মান কর‌তে জানেন না তি‌নি। যে কার‌ণে সহকারী শি‌ক্ষিকা লায়লা আক্তার‌কে হেয় কর‌তে গি‌য়ে এবার নি‌জেই ফেঁ‌সে গে‌ছেন। যে কর্মকান্ড কর‌তে গি‌য়ে বলা হ‌য়ে‌ছে সহকারী শিক্ষক লায়লা আক্তা‌রের জোরপুর্বক পদত‌্যাগ হওয়া সংক্রান্ত তদন্ত কা‌জের কথা। এমন‌কি জেলা প্রশাস‌কের বরাদ দি‌য়ে অন‌্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থে‌কে গোপনীয়তা নষ্ট ক‌রে তুলে নিয়ে‌ছে সা‌বেক শিক্ষক‌দের হা‌জিরা খাতা। অথচ লায়লা আক্তা‌রের ‌জোরপুর্বক পদত‌্যাগ বিষ‌য়ের তদন্ত কা‌জে ‌শিক্ষক বা‌তে‌নকে কো‌নো দা‌য়িত্ব দেয়া হয়‌নি। কিন্তু নি‌জে‌দের ব‌্যক্তি স্বা‌র্থে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকা‌ন্ডে নি‌য়ে‌ছেন মিথ‌্যার আশ্রয়। এছাড়াও অপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জয়‌গো‌বিন্দ উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষকের সা‌থেও প্রতারণা করে ন‌থি তু‌লে অপপ্রচার চা‌লিয়েছে।

এ বিষ‌য়ে উল্লে‌খিত প্রধান শিক্ষক‌ আব্দুল হা‌লি‌মের ক‌া‌ছে জান‌তে চাইলে তি‌নি স্বীকার ক‌রে‌ছেন যে, শিক্ষক বা‌তেন গত ২০/১০/২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক বেলা ১১টা ৪০মি‌নি‌টে আমাদের বিদ্যালয়ে এসে আমার অফিসকক্ষে প্রবেশ করেন। আলাপচারিতায় তিনি অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক লায়লা আক্তার, যিনি মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এ সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়ে‌ছে। তার বিষয়ে তদন্ত কাজের কথা বলে এবং জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ মহোদয়ের বরাদ দিয়ে লায়লা আক্তার এর শেষ ২ মাসের হাজিরার ফটোকপি দেয়ার জন্য  আব্দুল বাতেন মৌখিকভাবে অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে লায়লা আক্তার এর শেষ ২ মাসের হাজিরার নথিপত্রের ফটোকপি প্রদান করি।

এদি‌কে, সে হা‌জিরার খাতা নি‌য়ে পরব‌র্তিতে এক‌টি প‌ত্রিকার মাধ‌্যমে রটা‌নো হয় মিথ‌্যা অপপ্রচার। বিস্তা‌রিত তথ‌্য সাংবা‌দি‌কদের কা‌ছে লোকা‌য়িত রে‌খে লায়লা আক্তা‌রের বিরু‌দ্ধে গণমাধ‌্যমে সুনাম ক্ষুন্ন ক‌রে শি‌রোনা‌ম করা হয়। যে ষড়য‌ন্ত্রের জন‌্য লায়লা আক্তার প্রথ‌মেই আব্দুল বা‌তেনকে দায়ী ক‌রেছেন। এক‌দি‌কে যেম‌নি মানহা‌নি অপর‌দি‌কে তদন্ত কা‌জের কথা বলা এবং জেলা প্রশাস‌কের কথা উল্লেখ করার মত অপরাধ ক‌রে‌ছেন বা‌তেন। য‌দিও এরপ‌রে প্রকা‌শ হওয়া সংবাদপ‌ত্রে লায়লা আক্তা‌রের বক্তব‌্য তো‌লে ধরা হ‌য়ে‌ছে। তাছাড়াও লায়লা আক্তার লি‌খিতভা‌বে বা‌তেনের এই কা‌জের জন‌্য জবাব চে‌য়ে‌ছেন। কারণ তি‌নি শুধু প‌ত্রিকায় অপপ্রচারই ক‌রেন‌নি। সেসব প‌ত্রিকা তি‌নি নি‌জ হা‌তেও অন‌্যত্রে বি‌লি ক‌রে‌ছেন। আর এহেন ঘটনার পর থে‌কে শিক্ষিকা লায়লা আক্তার‌সহ অন‌্যান‌্য শিক্ষক‌দের মা‌ঝেও সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে চাপা ক্ষোভ।

অপর‌দি‌কে এসব অ‌ভি‌যো‌গের বিষ‌য় শিক্ষক আব্দুল বা‌তেন মু‌ঠো‌ফো‌নে জানান, তা‌দের এসব অ‌ভি‌যোগগু‌লো সত‌্য নয়। আমাকে মর্গ‌্যান স্কুল এন্ড ক‌লে‌জের প্রিন্সিপাল স‌্যার লায়লা ম‌্যাডা‌মের হা‌জিরা খাতার বিষয় ব‌লে‌ছিল। লায়লা ম‌্যাডাম ক‌বে লাস্ট জ‌য়ে‌নিং ‌ক‌রেছিল তাই উনার নি‌র্দেশে কাজ ক‌রে‌ছি। তবে ডি‌সি’র কথা ব‌লি‌নি। ত‌বে এ বিষ‌য়ে জয়‌গো‌বিন্দ উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক হা‌লিম সরকারের সা‌থে মু‌ঠো‌ফো‌নে কথা হ‌লে সাফ জানি‌য়ে দেন, বা‌তেন স‌্যার ডি‌সি স‌্যা‌রের বরাদ দি‌য়ে হা‌জিরা খাতার ফ‌টোকপি নি‌য়ে গে‌ছে। তি‌নি এও ব‌লে‌ছেন, তদন্ত ক‌মি‌টির ম‌ধ্যে বা‌তেন স‌্যারও একজন সদস‌্য।

কিন্তু উনি মোটেও কাজ‌টি ভা‌লো ক‌রে‌নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠা‌নের গোপনীয়তা রক্ষা না ক‌রে তা এক‌টি প‌ত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে‌ছে। ‌কিভা‌বে সম্ভব! এটা আমা‌দের ম‌ধ্যেই থাকার কথা। এটা তো আমা‌দের জন‌্য লজ্জাজনক।

add-content

আরও খবর

পঠিত