না.গঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানে ইমাম লাঞ্ছিত

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরের কদম রসুল পূর্বপাড়া এলাকায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে খতমে কোরআন অনুষ্ঠানে আসায় ২ ইমামকে মারধরসহ ১০ ইমামকে লাঞ্ছিত  এবং অবরোদ্ধ করে রাখে ডালিমও তার ছেলেরা। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। ১৬ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ও লাঞ্ছনার শিকার ইমামরা হলেন পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব মাওলানা সামসুদ্দোহা, মাওলানা আমিনুল হক রিপন, হাফেজ আনোয়ার হোসেন, বড়বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও বন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের প্রধান খতিব আলহাজ্ব মাওলানা সোহরাব আলী, নবীগঞ্জ কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রবিউল আউয়াল, মাওলানা আঃ রহমান, হাফেজ মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা জামির হোসেন, কদম রসুল দরগাহ মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শরীফুল্লাহ শাহীন ও হাফেজ আমজাদ হোসেন।

ইমামরা জানান, নবীগঞ্জ কবরস্থান কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হাবীব উদ্দিন হাবির বাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে খতমে কোরআন ও দোয়ার আয়োজন করে। সকালে তারা দাওয়াত পেয়ে হাবি মিয়ার বাসায় কোরআন পড়তে আসেন। এ সময় হাবীর ভাই ডালিম, ডালিম মিয়ার ছেলে মুগ্ধ ও অপূর্ব লাঠি সোটা নিয়ে এসে হাবি মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে ইমামদের অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ মারধর শুরু করে। এবং ইমামদের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ইমামরা অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে এলাকার শত শত লোক ডালিমের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ডালিম ও তার ছেলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশসহ বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ূন কবির মৃধা পরিস্থিতি শান্ত করে। দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল জানান, ঘটনাটি ন্যক্কার জনক। ইমামরা মেহেমান মেহেমানদের উপর হামলা তা মেনে নেয়া যায় না। আমরা আগামী সোমবার এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত