নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : এক নারীর বসতঘর দখলের অভিযোগটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। বৃহষ্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ব্যপারে কথা হলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি জানান, আসলে এ বিষয়টি দিয়ে মিথ্যা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। ওইদিন সকাল থেকে দুই জন বিশেষ পেশার লোক কোন স্বার্থে যেন এটা নিয়ে লেগেছে। একাধিকবার ফোন দিয়েছে। তাই এটা নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছি।
পরবর্তিতে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সাথে পুর্বশত্রুতা বা অন্য কিছু রয়েছে কি না প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে এর অন্তরালের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানান, অনেক আগে ধর্ষণের একটি ঘটনা হয়েছে। ওইঘটনা পর মহীলার স্বামী পলাতক ছিল। পুলিশ ট্যাকিং করে অনেক কষ্টে তাকে ধরেছে। ৬ মাস জেলও খেটেছে। এ কারণে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা জানালে প্রশাসন আইসা ঘর তালা দিয়েছে। সেটা কি আমি খুলে দিতে পারি? আমার কাছে আসছে যে, ঘরটা খুলে দেন। আমি কেমনে খুলবো? লম্পট মহিলা নানাভাবে অপপ্রচার করছে। এখন শুনছি আমি নাকি তালা মারছি। আর ৫ হাত একটা জায়গা বস্তিতে সেই জায়গা কি আমি দখল করতে যামু !
সাংবাদিক ভাইরা যে ফোন দিসেন, আপনারাও তো আইসা তদন্ত করবেন না। এই ঘরটা দেখলেই তো বোঝবেন। বিবেকে আসবো। আমি কোন ঘর নিলাম, কি ঘর, না জাইনা লেখলেই হইবো। মূলত ছেলেটা জেলে থাকা অবস্থায় এখন ভুক্তভোগী মেয়েটি বিয়ে করেছে। তার স্বামী যদি জানে বা আইসা দেখে, তাদের জন্যও তো খারাপ বিষয়। তাই এলাকাবাসী বা ভুক্তভোগীরা চায় না এমন অপরাধী এখানে থাকুক।
এছাড়াও এ ব্যাপারে এস আই গৌতম বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে কোন সত্যতা পাইনি। আমি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছিল কাউন্সিলর খোকনের দখল করা সিটি কর্পোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ড এর চিত্তরঞ্জন এলাকার রেলওয়ের জায়গা দখল করে প্রায় ৪০ টি ঘর নির্মাণ করে তা মৌখিকভাবে বিক্রি করে আসছে। এমন একটি ঘরের জায়গা ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে ভুক্তোভোগী সালমা আক্তার এর কাছে। সেখানে সালমা আক্তার প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যায় করে একটি বসত ঘর নির্মাণ করে। তবে সেই ঘর পুনরায় দখল করতে কুট কৌশল এর আশ্রয় নেয় কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। এক পর্যায়ে সালমা আক্তারের স্বামী রাজীব মিয়ার বিরুদ্ধে এক মেয়েকে দিয়ে গত ১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ধর্ষণ এর মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ভুক্তভোগীর স্বামী বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছে। এমন একটি অভিযোগ গত ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঐ নারী ।