নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : দীর্ঘ ২৩ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে সকল মেরুকরণ ভুলে দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিত হতেও দেখা গেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকেরও এ ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী ছিল। তবে এখনো মেরুকরণের বিভক্তিতে নেতাকর্মীদের দুরত্ব সেই আগের মতই লক্ষ করা যাচ্ছে।
সম্মেলনে জেলা কমিটির সভাপতি আবদুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকেই পূর্নবহাল করার পরপরই ফুটে উঠেছিল এমন চিত্র। বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলী দিয়েছেন পৃথকভাবে। বিভিন্ন কর্মসূচীতে যাচ্ছেনও পৃথকভাবে। শুধু তাই নয়, স¤প্রতি যুবলীগের মহাসমাবেশেও এমপি শামীম ওসমান অনুসারী এবং মেয়র আইভী অনুসারীদের নেতর্কমীদের পৃথক শোডাউন করতে দেখা গেছে।
এতে করে রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, খুব সন্নিকটে জাতীয় নির্বাচন। তাছাড়া বিরোধী দলের সক্রিয়তাও দিন দিন বাড়ছে। এসময়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্বের কারণে অনৈক্য বাড়ছেই। যা শুধু নির্বাচনেই নয়, প্রভাব ফেলবে বিরোধীদল বিএনপির সাথে রাজনীতির মাঠে টক্কর দিতেও।
তাছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সাংগঠনিকভাবে ফিরেনি গতি। বিশেষ করে উত্তর মেরু আর দক্ষিন মেরুর গ্যাড়াকলে এ জেলার রাজনীতি আটকে আছে দীর্ঘ দিন ধরেই। আর এর মূলেই ধরা হয় এমপি শামীম ওসমান এবং মেয়র আইভীকে। কারণ তাদের অনুসারী হয়েই বিভক্তি হয়ে আছে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী। আর এতে ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে দলটি।
তৃনমূলের নেতাকর্মদের কাছে জানা গেছে, কোন্দল আর বিভক্তির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অমুক ভাই কিংবা তমুক বোনের সাথে ঘুরে ঘুরে নেতা বনে গেছেন অনেকেই। যাদের অধিকাংশই এক সময় আওয়ামলীগের কোন কর্মসূচীতেও দেখা যায়নি। আজ তাদের পদ মিললেও স্থান হয়নি রাজপথে থাকা অনেক ত্যাগীদের। তাছাড়া দলীয় নেতাদের কোন্দলকে অনুসরণ করেই বাধ্য হয়ে বিচ্ছিন্নভাবেই কর্মসূচী পালন করছে কর্মীরা।
আর তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কোন্দলে সক্রিয় থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি ব্যানারের পেছনে দাঁড়াতে পারছে না। এর জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব নিয়ে সাংগঠনিকভাবে দলকে গতিশীল করতে হবে। ব্যাক্তি আক্রোশ পরিত্যাগ করে দলের জন্য ঐকবদ্ধ হয়ে সকল কর্মসূচীতে কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে অংশ গ্রহন করতে হবে। তাহলেই এ জেলার আওয়ামীলীগের সুনাম আবারো উজ্জল হতে পারে।