নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : চলছে কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন। ইতমধ্যেই করোনা সংক্রমনে মৃত্যু ও শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আরো ৭ দিনের লকডাউনে বিধিনিষেধের আদেশ হয়েছে। তবে এই লকডাউনে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে অসহায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের কপালে।
বিশেষ করে দিন আনে দিন খায় মানুষের ভিতরে এই চিন্তার ভাজ চরম আকার ধারণ করেছে। করোনার শুরু থেকেই সবচেয়ে সংকটে ছিল এই মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। গতবছরে করোনা প্রকোপ শুরুকালে জনপ্রতিনিধি, শিল্পপতি, সমাজসেবী সংগঠনসহ ব্যক্তি উদ্যোগে অনেককেই ঝাপিয়ে পড়তে দেখা গেলেও এবার দেখা নেই তাদের।
তাছাড়া, নারায়ণগঞ্জকে ধনী জেলা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে এসে অনেকেই তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবসার মাধ্যমে ধনী হয়েছেন। কিন্তু সে হিসেবে তাদের শ্রমিকদেরও তেমন খোঁজ নেয়ার খবর পাওয়া যায় না। রয়েছেন অনেক উঁচু অট্টালিকা’র মালিক। মাস শেষে গুনে ভাড়া নিতে না ভুললেও ভাড়াটিয়ার অবস্থার খোঁজ নিতে দেখা যায়না। শোনা যায় না স্থানীয় শিল্পপতি ব্যক্তির পক্ষে এলাকায় অসহায়দের পাশে দাড়ানোর কথা।
বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে দেখা গেলেও নিজ উদ্যোগে দেয়ার সংখ্যা খুবই কম। আবার শিল্পপতি, সমাজসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যারাই দিয়েছেন, তাদের বেশীরভাগ অংশকেই দেখা গেছে স্বার্থ হাসিলের প্রয়াস। কেউ কেউ নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা, মানবতার মা বলেও প্রচারণায় এনেছে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এবারের লকডাউনগুলোতে তাদের অনেককেই গণমাধ্যমের পাতায় বড় বড় শিরোনাম হতে দেখা গেলেও স্থানীয়দের কাছে বড় হতে পারেনি তারা। সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে যারাই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তাদের স্মরণ রেখেছেন সাধারণ মানুষ। আর করোনায় অসহায়দের পাশে দাড়ানো ওই সকল মানুষকে এখনো খোঁজে যাচ্ছে তারা। কেউ কেউ বিনা দ্বিধায় এখনো চলে যাচ্ছে সাহায্য চাইতে। একই ধারাবাহিকতায় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে এবারের লকডাউনে আগের মতই দল, মত নির্বিশেষে একে অপরের পাশে থাকার আন্তরিক সহযোগিতার স্রোত দেখতে চায় নগরবাসী।
উল্লেখ্য, গত বছরের করোনাকালে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে জনপ্রতিনিধিদেরকে দেখা গেলেও এবার তাদের দেখা যায় নেই তাই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নারায়ণগঞ্জে মানবতার ফেরিওয়ালারা কোথায় ?