নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার আলোচিত সোয়েব হত্যা মামলার চার্জগঠন সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার ৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের বিচার সৈয়দ এনায়েত হোসেন শুনানী শেষে এই আদেশ দেন। এর মাধ্যমে এই হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো। মামলার অভিযুক্ত ৫ আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলো। অভিযুক্ত অপর আসামী সানীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড: ওয়াজেদ আলী খোকন চার্জগঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় বাদীপক্ষে আইনজীবি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড: জাকির হোসেন ও এড: ফাহমিদা আক্তার সিমি।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এড: ফাহমিদা আক্তার সিমি জানিয়েছেন, আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের উপস্থিতিতেই চার্জগঠন করে আদালত। আদেশের কপি পেলে বিস্তারিত বলতে পারবো। তবে আমরা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই আশা করছি। এড: জাকির হোসেন জানান, আলোচিত এই মামলাটি আদালত গুরুত্বের সাথেই বিবেচনা করছে।
এ মামলায় অভিযুক্ত আসামীর সংখ্যা ৬জন। ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ এ মামলায় এনেটি আবাসিক প্রকল্পের নৈশপ্রহরী শুক্কুর আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে শুক্কুর আলী ওই ৬জনসহ আরো কয়েকজনকে রাতে বস্তায় লাশ ভরে পুকুরের পানিতে ফেলতে দেখেছে এবং এই ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য তাদের দেয়া হুমকির কথা স্বীকার করে।
২০১৪ সালের ২১ মার্চ কাশীপুর খিলমার্কেট হোসাইনীনগর এনেটি আবাসিক প্রকল্পের জলাশয় থেকে ব্যবসায়ী যুবক সোয়েবের (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে অজ্ঞাত লাশ দেখিয়ে এসআই আবুল বাশার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে লাশটি নিজের ছেলে বলে সনাক্ত করেন সোয়েবের বাবা মনির হোসেন। পুলিশ ওইদিন দুপুরে জানাজার আগেই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে দুই সহোদর টিটু, মিঠু, হৃদয় ও রাব্বী নামের নামের ৪ যুবককে গ্রেপ্তার করে। এরা প্রত্যেকেই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
এরপর রাতে সোয়েবের বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে ওই মামলায় একটি সম্পুরক এজাহার দাখিল করেন। এ মামলাটি এসআই খাইরুল ইসলাম, এসআই মুসলিম আলী শেখ তদন্ত করছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমন কুমার আইচ।