নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : নারায়ণগঞ্জে প্রথমবারের মত ইলেক্ট্রিক ট্রেন চালু করা হবে। দেশে আসছে প্রথমবারের মত ইলেক্ট্রিক ট্রেন যা চলবে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে সাইনবোর্ড মোড় এবং চিটাগাং রোড হয়ে পঞ্চবটির পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ট্রেন চালু প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকারের একটি মন্ত্রিসভা কমিটি।
এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে চাষাঢ়া হয়ে সাইনবোর্ড মোড় পর্যন্ত একটি রুটের দৈর্ঘ্য হবে ১১ কিলোমিটার। আর চিটাগাং রোড হয়ে পঞ্চবটি পর্যন্ত আরেকটি রুট ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ।
ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হলে এসব রুটে প্রতিদিন গড়ে এক লাখ ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া দুই লাইনের ইন্টারচেইঞ্জ স্টেশন হবে চাষাড়ায়।
প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে যৌথভাবে বাংলাদেশ সরকার ও সিঙ্গাপুর সরকার বাস্তবায়ন করবে। লাইট র্যাপিড ট্রানজিট (এলটিআর) শীর্ষক একটি প্রকল্প নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
২০ নভেম্বর মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটিতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকার টু সরকার ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে লাইট র্যাপিড ট্রানজিট (এলআরটি) স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইলেক্ট্রনিক ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে জনগণ। এ ট্রেনে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।
তিনি অরো বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো প্রস্তাবের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে এ ট্রেন চলবে দুটি রুটে। একটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে চাষাড়া হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ। অন্যটি চলবে চট্টগ্রাম রোড থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথ। দুই লাইনের ইন্টারচেইঞ্জ স্টেশন হবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায়।
এ প্রল্পটি বাস্তবায়ন করতে কত টাকা ব্যয় হবে সেটা জানা যায়নি। তিনি বলেন, এটা সবে মাত্র নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হলো। এরপর বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর যৌথভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে, তারপর ব্যয়ের বিষয়টি ঠিক করবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ৩৮৮টি দেশে এ ধরনের ট্রেন রয়েছে। ইলেক্ট্রিক ট্রেন চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন যাত্রা যোগ হবে।