নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধŸগতি এবং পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। বুধবার (৩১ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৩ টায় নগরীর মন্ডলপারা ফায়ার সার্ভিস ষ্ট্যাশনের সামনে কর্মসূচী পালন করতে গেলে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দেন।
এসময় নেতাকর্মীদের সাথে বাক-বিতন্ডার একপর্যাযে লাঠিচার্জ করে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ১৩ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। আহতরা হলেন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাগর প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান মাসুম, রাশেল মিয়া, আব্দুর রহমান, সাইদুর রহমান, দীল মোহাম্মদ, মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম, সানি, রুবেল হোসেন, সুমন মিয়া।
এ বিষয় মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আবারো প্রমান হলো শেখ হাসিনা একটা মিথ্যা বাদী। সে ঘোষণা দিয়েছিলো বিএনপির সভা সমাবেশে কোন বাধা দেওয়া হবে না। অথচ বিএনপির সমাবশে পুলিশ বাহিনী দিয়ে বাধা দেয়া হচ্ছে। আবারো প্রমান হলো পুলিশ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে। আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ করতে এসেছি সেখানে তারা বাধা দিচ্ছে অথচ শতাধিক ট্রাক নিয়ে শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ আমাদের সামনে দিয়ে মিছিল করতে করতে গেলো তাদেরকে বাধা দেওয়া হলো না। এর কিছুক্ষন পরে জোসেফের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের মিছিল নিয়ে আমাদের সমাবেশে যোগদানের জন্য আসছিলো। সেখানে পুলিশ তাদের উপর লাঠি র্চাজ করে অনেক নেতাকর্মীদের আহত করেছে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধারাবাহিকতার সহিত বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছি। যেখানে গত কর্মসূচি পর্যন্ত কোন বিশৃংখলা হয়নি। তাহলে হঠাৎ করে কাদের ইন্দনে সমাবেশস্থলে আমাদের আসার আগেই পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। কেন আমাদের সমাবেশ করতে পুলিশ নিষেধ করেছে। আর কেন আমাদের বিএনপি ও নেতাকর্মীদের উপর লাঠি চার্জ করলো। আমাদের একটাই অপরাধ আমরা জনগনের পক্ষে কথা বলছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, পুলিশ আমাদের সমাবেশ করতে নিষেধ করেছে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাদের কথা মেনে সমাবেশস্থলে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ কেন আমাদের উপর লাঠি চার্জ করলো সেটা আমি প্রশাসনের কাছে জানতে চাই। তারা আমাদের সমাবেশস্থ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেটা মেনেও সেখান থেকে ফিরে আসছিলাম। কেন হঠাৎ করে পুলিশ আমাদের পিছন থেকে লাঠি চার্জ করলো।
আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তবুও বলতে হচ্ছে পুলিশের বেতন আসে জনগনের টাকায় আওয়ামী লীগের টাকায় না। তারা আজকে যেই আচরন করেছে তাতে মনে হলো পুলিশ শুধু আওয়ামী লীগের জন্য। সাধারণ মানুষের উপর নির্তাযতন করবে। দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার হরণ করে অবৈধ ভাবে পুলিশের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার দিন শেষ। মনে রাখবেন দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য ৭১ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত দিয়েছে। ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিমের মত প্রয়োজনে আমরাও রক্ত দিবো তবুও দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।