নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনার পঞ্চম দিনে মা ও মেয়েসহ ৬ জনের লাশ ভেসে উঠেছে। ৯ই জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেকটি লাশ দূর্ঘটনাস্থলের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও চারজন।
ভেসে ওঠা লাশের মধ্যে রয়েছেন : ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০), ফতুল্লার চর বক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৮), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জোসনা বেগম (৩৩), ফতুল্লার উত্তর গোপাল নগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০)।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৬টি লাশ উদ্ধার করে সদর উপজেলা প্রশাসন তাদের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করেছে।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, একই পরিবারের চারজনের মধ্যে মা-মেয়ে দুইজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আরেক মেয়ে তাসফিয়া (২) ও ছেলে তামিম (৫) এখনও নিখোঁজ রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করে সদর উপজেলা প্রশাসন পরিবারের কাছে হস্থান্তর করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৫ই জানুয়ারি বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোট ১০ জন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় পরের দিন ৬ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ (চালক) জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে তারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।