নারায়ণগঞ্জ বার্তা ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্নস্থানে বড় বড় বিল বোর্ড। দেয়ালে দেয়ালে সাটানো রয়েছে পোষ্টার। একটু ব্যতিক্রমি আদলে এমন প্রচারণায় অনেকের মাঝেই গুঞ্জন ও উঠছে নানা প্রশ্ন! নগর জুড়ে চায়ের দোকান থেকে বিভিন্ন দপ্তরে এ নিয়ে বইছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। কে এই বাবু ? তবে সব প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে তিনি নিজেই পরিচয় তুলে ধরেছেন। শহরের উকিলপাড়া এলাকার মো. মনিরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম বাবু। তিনি ব্যবসার সংশ্লিষ্টতায় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন।
শুধু তাই নয়, বুধবার ২রা জুন দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়াও আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক ও সমর্থন না পেলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করেই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত জানায়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করে বলেন, আমার ৪৭ বছরের জীবনে এই শহরে থেকে আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। আমার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ নেই, কখনও স্পর্শ করিনি। না, আমি অবৈধ পথে উপার্জন করিছি কোনদিন। না, আমি বিত্ত বৈভবের মালিক হয়ে বুর্জুয়া শ্রেণির প্রতিধিনিধিত্বকারী চরিত্র। আপনারা আমার সম্পদের হিসাব জানিয়ে দিন রাষ্ট্রকে, আমার প্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে, সরকারকে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে জানিয়ে দিন, আমার বৈষয়িক বৃত্তান্ত। তিনি আরো বলেন, আমি, এই শহরের অনেকের কাছেই আদুরে বাবু। নাম আমার কামরুল ইসলাম বাবু, আজ যদি আমার নাম প্রথম শুনে থাকেন, তবে উপস্থিত সংবাদকর্মী ভাই ও বোনদের বলছি, জানিয়ে দিন এই নগরীর জনপদকে, এখন থেকে আমার নাম শুনতেই থাকবেন। কারণ, আপনাদের পরামর্শ নিয়ে চলতে চাই। বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতি ও নৈতিক শিক্ষায় ভর করে আমি নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এলাম। নেমে পড়লাম, দেখা যাক। নির্বাচন প্রসঙ্গে এসময় তিনি বলেন, উন্নয়ন, নাগরিক সেবা ও রাজস্ব আদায়। এই তিনটি নীতির ওপর ভর করে আমি বদলে দিতে চাই নারায়ণগঞ্জকে। মৌলিক এমন তিনটি নীতির সাথে থাকবে যৌগিক পর্যায়েরও তিনটি নীতি। তাছাড়াও তিনি বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও এমপি শামীম ওসমানকে অভিভাবক হিসেবে পাশে রেখেই নগরবাসীর সেবায় কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।