নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বিশেষ প্রতিবেদক) : নারায়ণগঞ্জের পরিবহন মাফিয়াদের তদন্তে নেমেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাষাঢ়া খাজা সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় একটি পরিবহন কার্য্যালয়ে চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্তদের তথ্য সংগ্রহ করতে যান পুলিশের একটি দল।
এ বিষয়ে কথা হলে ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা উপ পরির্দশক সেলিম জানায়, চাঁদাবাজি একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত করার জন্য খাজা মার্কেটের পরিবহন কার্য্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি।
সূত্র মতে, মামলায় অভিযুক্তরা এখনো বীরদর্পে রয়েছে। এমনকি তাদের মালিকানধীণ পরিবহনগুলো দিব্বি পরিচালনা করে যাচ্ছে। এছাড়া সন্ধ্যা হলেই উল্লেখিত অফিসে অভিযুক্তরা আড্ডা জমায় এমন অভিযোগও রয়েছে। একইসাথে পুলিশের অভিযানের পরই খাজা সুপার মার্কেটের ৩য় তলা অফিসটিতে মালিক শ্রমিকদের রুদ্ধদার বৈঠক করা হয়েছে।
এরআগে মামলাটি এজহারভুক্ত করতে সদর থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছিল নসিব পরিবহনের মালিকরা। পরে গত ১লা সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার শ্যালক জেলা ছাত্রলীগ নেতা এহাসানুল হাসান নিপু ও তার সহযোগীসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে মামলা রুজু করেন পরিবহন মালিকরা। এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদলতের বিচারক সাফিয়া শারমীন মামলাটি এজাহারভূক্ত করতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপ্রেক্ষিতে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছিল।
তবে মালিকদের দাবি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটলেও শামীম ওসমানের দোসররা এখনো পরিবহন সেক্টরে বিচরণ করছে। যারা বর্তমানে বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা করে পরিবহন সেক্টর পরিচালনা করছে। এছাড়াও পরিবহনে আয়ের সেসকল অর্থ এখনো সেসকল চাঁদাবাজদের কাছে পাচার করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এখনো যারা এই নারায়ণগঞ্জে মুখোশধারী হয়ে পরিবহন পরিচালনা করছে তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।
প্রসঙ্গত, মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হকার্সলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগ নেতা মহসিন ভূঁইয়া, শামীম ওসমানের পরিবহন খাতের ক্যাশিয়ার দিদারুল আলম, সাইফুল ইসলামের পরিবহন ক্যাডার মো. রুবেল, আওয়ামী নেতা মো. সুলতান, আইয়ুব আলী মেম্বার, মিলন ও আজমেরী ওসমানের ক্যাডার নাসির।
অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে, এ মামলাটি উঠিয়ে নিতে হুমকী দিচ্ছে পরিবহন মাফিয়ারা। এমনকি উল্টো মামলায় হয়রানি এবং নিরাপত্তাহীণতায় ভোগছে বলে জানিয়েছিলেন নসিব পরিবহন প্রা. লি. এর মালিকরা।