নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নজরুল ইসলাম, নরসিংদী ) : নরসিংদীর পলাশে র্যাব এর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইমান আলী (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ঘোড়াশাল খালিশারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। ইমান আলীর বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার নাগরিয়া কান্দি গ্রামে।
র্যাব জানান, নিহত ইমান নরসিংদীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও নিয়ন্ত্রক। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একহাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-১১ এর কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিন জানান, ইমান আলী ঘোড়াশালের খালিশারটেক এলাকায় তার বাড়ির পাশে ইয়াবার চালান আদান-প্রদান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইমান আলীর সঙ্গে তার দুই সহযোগী ছিলেন। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় ইমান আলী গুলিবিদ্ধ হন। আর বাকি দুজন পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমান আলীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, তার মা মমতাজ বেগমের একাধিক বিয়ে হওয়ার সুবাদে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল খালিশকাটেক এলাকার মিলন মিয়ার (সৎ বাবা) বাড়িতেও তিনি দীর্ঘদিন অবস্থান করেছিলেন।
তিনি নাগরিয়াকান্দি ও খালিশকাটেক দুই এলাকারই পরিচয় দিয়ে থাকেন। বর্তমানে তার মা মমতাজ বেগম ওরফে বুড়ি খালিশকাটেক এলাকায় থাকেন। তিনিও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর ইমান আলী তার স্ত্রী পারভীন বেগমকে নিয়ে নাগরিয়াকান্দি এলাকায় বসবাস করেন। তার শ্বশুরবাড়িও নাগরিয়াকান্দি এলাকায়।
র্যাব-১১ মো. জসিম উদ্দিন আরো বলেন, ইমান আলী শুধু মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না, তিনি জেলার মাদক নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, বিস্ফোরক, অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এক ডজন মামলা রয়েছে। তার পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।