নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে পিতৃহীন ৬ দিনের নবজাতক সন্তানকে কোলে নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন এক প্রসূতি নারী। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা অডিটরিয়ামে সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ বিয়ে হয়। বর প্রবাসে থাকায় টেলিফোনের মাধ্যেমে করা হয়েছে সব আনুষ্ঠানিকতা।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এ নারীকে টানা ধর্ষণের কারণে গর্ভবতী হন তিনি। এরপর সামাজিক চাপে বিদেশে পালিয়ে যান ধর্ষক। গত শুক্রবার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের মাধ্যেমে নবজাতক কন্যা ফিরে পায় তার পিতার পরিচয়।
জানা যায়, গেল বছর ভোলাবো এলাকার সালাউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মোবারক হোসেন একই এলাকার নাঈম মিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ করলে ভয়ভীতি দেখান। পরে একই কায়দায় ধষর্ণ করে যান তিনি। এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন নাদিয়া। পরে নাদিয়ার কাছে বিস্তারিত জেনে তার পরিবার মোবারককে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি নাকচ করে দেন। গত শুক্রবার একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন নাদিয়া। পরে স্থানীয়দের বিচারের আশায় ৫দিন ঘুরেও বিষয়টির উপযুক্ত কোনো সমাধান করতে না পেয়ে মেয়েটির পরিবার ইউএনও মমতাজ বেগমের কাছে বিচার দাবি করেন। ইউএনও বিষয়টিতে কঠোর অবস্থান নিয়ে ছেলের অপকর্মের কথা জানিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করার কথা বললে উভয় পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়। মঙ্গলবার রাতে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ১০ লাখ টাকা কাবিন ও নবজাতকের নামে ২ শতক জমি লিখে দেয়ার চুক্তিতে প্রবাসী মোবারকের সঙ্গে ভিডিও কলে নাদিয়ার বিয়ে হয়।
বিয়ের শাড়ী, কাবিনের ফি ও বিভিন্ন খরচাদী ইউএনও নিজেই বহন করেন। বিষয়টির সুষ্ঠ ও সামাজিকভাবে সমাধান হওয়ায় স্থানীয়রা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।
বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক ভূঁইয়া, ভোলাব ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু, ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আশকারী, কাজী আব্দুল মতিনসহ ভোলাব এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।