নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : পাগলে কিনা কয়, ছাগলে কিনা খায়! প্রবাদ বাক্যটি’র সাথে বাস্তব জীবনে আমরা সকলেই খুব পরিচিত। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে পাগলামীর প্রবণতা এখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাঝেও দেখা যায়। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে একটি নির্দিষ্ট শব্দের অর্থ যে ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়, তার প্রচুর উদাহরণও আমরা জানি। সম্প্রতি এমন এক উদাহরণের সাথে নয়া পাগলের রাহু গ্রাসে পড়েছে নগরবাসী।
বেশ কদিন ধরেই তার প্রলাপে বিরক্ত সাধারণ মানুষ। নিজেকে তিনি দাবী করেন এক সাধারণ! তবে কার্যকলাপে তিনি যেন বড্ড উন্মাদ। তার সাথেই আবার লাক ভেলকী লাক ছন্দে নাচছে গুটি কয়েক চেতনাহীণ সর্মথক! যাদেরকে সপ্নে বিভোর রাখলেও, ভবিষ্যৎ অন্ধকার। জানা গেছে, ওই পাগল এতটাই উন্মাদ যে, গরমেও তার স্যুট-টাই যেন চীর সঙ্গি। নিজে নেতা সাজলেও, নেতৃত্বের নেই কোন গুন। পিছনে কর্মী সর্মথক বুঝালেও অনেকাংশেই তারাও ভাড়ায় ব্যবহৃত! নগরবাসীর জন্য সে নাকি সপ্ন দেখেন সম্ভাব্য একটি নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার। কিন্তু নগরবাসীর ইচ্ছা পূরণ করা ব্যক্তিটি তার কার্যালয় করেছেন ইউনিয়ন পরিষদে। যদিও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে কিনা তাও অনিশ্চিত। কিন্তু তিনি নিশ্চিত একমাত্র যোগ্য হিসেবে, তার দ্বারাই সম্ভব। শহরে নিজ সমর্থিতদের ছবি দিয়েও সাটিয়েছেন ব্যনার-ফেস্টুন।
ইতমধ্যেই নিজেকে আলোচনায় আনতে চালাচ্ছেন ব্যপক চেষ্টা। নিয়েছেন অনেকগুলো গণমাধ্যমেরও প্রচার সহযোগীতা। কিন্তু এতে আবার অনেকই কোনরকম সাড়াও দেয়নি। ঘটা করে নির্বাচনের জানান দিতে সংবাদ সম্মেলন করলেও, সেটিও গণমাধ্যমে প্রকাশে নারাজ গণমাধ্যমগুলো। কারণ তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ সম্পর্কে অনেক বিচক্ষণ সংবাদকর্মীই অনুসন্ধানে বের করে ফেলেছে। আর তাই তিনি এবার নিজেকে শিরোনামে আনতে পাল্টিয়েছে কৌশল। তিনি এখন একটি মেরুর খুব সুনাম করলেও অপর একটি মেরুতে হানা দেয়ার অপচেষ্টাও করছেন। তবে এতেও কোন পাত্তাই দিচ্ছে না নগরবাসী। এমনকি প্রচারমুখী এ মানুষটি নিজেকে আলোচনায় আনতে গড়ে তোলেছে একটি ভূইফুঁড় সংগঠন। সাথে যুক্ত করেছে জয় বাংলা। তবে তারই উপদেষ্টা বা বন্ধু, সর্মথক হিসেবে পরিচিত অপর একজন হলো বিএনপি পূর্নগঠনের উদ্যোক্তা হিসেবেই পরিচয় দেন।
জানা গেছে, মূলত তারা দুজনই চায় নিজেদের ডানা মেলে ধরতে। আর এজন্যই নারায়ণগঞ্জ জেলাটি আলোচিত থাকায়, টার্গেট করেছে এ জেলাকে। সর্বশেষ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে একটি সংবর্ধনার নামে চাষাঢ়ায় সমাবেশ করে, যা পুলিশের বাধার মুখেও পড়ে। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান সেই ভূইফুঁড় সংগঠনের কার্যালয়ে। করেন সংবাদ সম্মেলনও। ঘোষনা দেন, হরতালেরও। যদিও দু’দিন আগেই আবার হরতালের পরিবর্তে অণশন করবে বলে জানিয়েছেন তারা।
নগরবাসীর অনেকেরই প্রশ্ন, আমাদের শহরে ওরা হরতাল দেয়ার কারা? কারাই বা তাদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। সকল কিছুই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে নেয়া উচিৎ। শহরে তাদের কতটুকুই বা গ্রহনযোগ্যতা আছে। এতদিন ধরে এই পাগলের কার্যকলাপে প্রশাসনের ভূমিকা কি? নগরবাসী বলছেন, যদিও নির্বাচণে অংশ নেয়ার অধিকার সকল নাগরিকেরই রয়েছে। তাই বলে কি কোন পাগল! যার চাল চলন, উপস্থিত বক্তব্য উন্মাদনা ছাড়া আর কিছুই মিলেনা। আর যদি সে পাগল হয় দ্রুত যেন সার্টিফিকেট ঝুলিয়ে, শিকল পড়িয়ে দেয়া হয়! তা না হলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মুখোশে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে সমাজে নানা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত আইনের শিকলে তাকে বেঁধে দিতে হবে। এখন দেখার বাকি এই পাগলের পায়ে শিকল বাঁধবে কে?