নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪: জনগণের ভোট ছাড়া গায়ের জোরে আওয়ামীলীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, এ হাসিনার সরকার অবৈধ সরকার। ১৫৪টি আসনে কোন প্রার্থীই ছিল না। বিনা ভোটে তারা নির্বাচিত। তারা স্বৈরাচারী আচরণ করছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের হাসনাত স্কয়ারের গ্রান্ড হল কনভেনশন সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মহিলা দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন্নাহারের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনার সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস
তিনি আরও বলেন, দেশের তিনটি স্তম্ভকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। নির্বাহী বিভাগকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিচার বিভাগ ধ্বংস।
আগামীতে আওয়ামীলীগ আবারো ক্ষমতায় থাকতে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে উল্লেখ করে ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ বিএনপিকে ভয় পায়। আওয়ামীলীগ জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ভয়। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে ভয় পায়। ষড়যন্ত্র করে ভুয়া বিচার করা হচ্ছে। মিথ্যা বানোয়াট মামলায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সপ্তাহে তিন দিন হাজিরা দিতে হয়। কোন স্বাক্ষী নেই ডকুমেন্ট নেই সরকার বিচারকদের যা লিখে দিবে তাই বিচারক রায় দিবে। কিন্তু জনগণ মেনে নিবে না।
মহিলা দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা মহিলা। এবং ভোটারও মহিলাদের সংখ্যা বেশি। তাই মহিলা দলকে গুরুত্ব দিয়ে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামে মহিলা দল সামনে থাকলে পুলিশ ও গুন্ডারা কিছুটা হলেও সমীহ করে থাকে।
চালের মুল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে কোন চেইন অব কমান্ড নাই, যে কারণে দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা সরকার। শেখ হাসিনা বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। কিন্তু আজকে ৫০টাকা কেজি মোটা চাল।
জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে আওয়ামীলীগ অপপ্রচার করে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। সেই অর্জন ধূলিসাৎ হতে যাচ্ছে। বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামীলীগ। সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আওয়ামীলীগ যা পারেনি তা জিয়াউর রহমান করে দেখিয়েছেন। তাঁর নীতি আদর্শে আমরা বিএনপির রাজনীতি করি। আবারও বাকশাল কায়েমের ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামীলীগ।
কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি কয়েকটা গ্রুপে বিভক্ত। বিএনপির জেলা ও মহানগর নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। অঙ্গ সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ আছে।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জের মহিলা দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের আহ্বায়ক রাশিদা জামাল, সাজেদা খাতুন মিতা, বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার, সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি সালমা আক্তার, আড়াইহাজার উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তার, শহর মহিলা দলের সাবেক সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়নাসহ জেলার সাতটি থানা এলাকা থেকে আসা মহিলা দলের নেতাকর্মী।