দেশবিরোধী শক্তিকে জবাব দিবে প্রস্তুত না.গঞ্জ ছাত্রলীগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বিশেষ প্রতিবেদক) : আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম তিনটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আগামী ৩ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। এ সম্মেলনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যপক উৎসাহ কাজ করছে ।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বেশ কয়েকটির তিন বছরের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত আছে। এর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে এবং পরে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনে বড় জমায়েতের পরিকল্পনা আছে দলটির। এ সম্মেলনগুলোতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। আর এসময়ের মধ্যেই দলটির সকল নেতাকর্মীদের সক্রিয় ও শক্তিশালী করতে ব্যপক পরিকল্পনা রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফুল ইসলাম রাফেল প্রধান বলেন, আমরা সম্মেলনকে ঘিরে এবং দেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রস্তুত আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে মোকাবেলায় রাত-দিন বুঝিনা যেকোন সময় প্রস্তুত আছি। ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়েও সকলে প্রস্তুত আছে।

মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ বলেন, সবসময় ছাত্রলীগের সাথেই ছিলাম। এখনো আছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রস্তুতী সভা হলে নির্দেশ দিবে। আমরা অপেক্ষায় আছি যেভাবে জননেত্রী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যা বলবে সেভাবেই পাশে থাকবে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ। আমরা শামীম ওসমানের নির্দেশে সবসময় রাজপথে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো। কোন অপশক্তিকে আমরা ছাড় দিবোনা। অয়ন ওসমান ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আমরা আগামীতেও সে নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। সেসময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে। পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ভারমুক্ত করা হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত