নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দূর্নীতির বিরুদ্ধে আদালত যে রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করেছেন সেটা বাংলাদেশের দূর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের জন্য সতর্কবার্তা। আমি এভাবেই বিষয়টিকে দেখছি। শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর সুপার স্ট্রাকচার কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পলিটিক্যাল বক্তব্য ভালো কাজকে ঢেকে দিচ্ছে। পলিটিক্যাল বক্তব্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা আমাদের মুখ্য কাজ নয়। দেশের উন্নয়নটা আমাদের কাছে মুখ্য। রাজনীতি আছে, থাকবে। রাজনৈতিক দল আছে, দেশে নির্বাচন আছে, এসব জেল-জুলুমও থাকে। জেল-জুলুম এগুলো সহ্য করেই এখানে ক্ষমতায় এসেছি। আমাদের নেত্রীকেও জেল খাটতে হয়েছে। আমি নিজেও চার বছর জেলে ছিলাম। এগুলোই আমাদের জীবন। জেলে যাওয়াটা রাজনীতির অনুষঙ্গ।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেতুর প্রকল্প পরিচালক সাইদুল হক, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, সেতু মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা ওয়ালীদ হোসেনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধতন র্কর্মকর্তাবৃন্দ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের জায়গায় থাকলে আমিও একই কথা বলতাম। এটা বলবেই। কেউ কি মেনে নেয় আমি দূর্নীতিবাজ! তবে বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ নম্বর ধারা রায়ের আগেই রাতের আঁধারে তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা আত্মস্বীকৃত দূর্নীতিবাজ দল।
মন্ত্রী সেতু নির্মাণকাজে নিয়োজিত জাপানি নাগরিকদের প্রশংসা করে বলেন, এই তিনটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ২০১৯ সালের জুন মাস। কিন্তু জাপানিদের কর্মপরিকল্পনা ও আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণে সেখানে এখন টার্গেট হচ্ছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস। অর্থাৎ ছয় মাস আগেই এই সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মনে হয় চলতি বছরের নভেম্বরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু তিনটির উদ্বোধন করতে পারবেন। ছয় মাস আগে সেতু তিনটি নির্মাণ হওয়ার কারণে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।