নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : ইসলামী আন্দোলনের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, রিক্সাওয়ালারা ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে সরকারের ফান্ডে টাকা জমায় আর তারা সে টাকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা সৎ কাজে সহযোগীতা করো অসৎ কাজে বিরোধিতা করো। ভোট মানে সীল মারা নয়। ভোট অর্থ সহযোগীতা করা। ভোট মানে সাক্ষী দেয়া মতামত প্রকাশ করা। ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দেন, আব্রাহাম লিংকনের গণতন্ত্রের জন্য ধানের শীষে ভোট দেন আর ইসলামী আন্দোলন বলছে, আল্লাহ ও রাসূলের আদর্শ যদি বাস্তবায়ন করতে চান, দুনিয়াতে শান্তি আখিরাতে মুক্তি চান, হাতপাখার প্রার্থী মাসুম বিল্লাহকে ভোট দিন। ১লা জানুয়ারি শনিবার বিকালে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মাসুম বিল্লাহর পক্ষে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদিও নির্বাচনে আসেনি তাদের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকার নৌকার প্রার্থী দিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা নিয়ে নির্বাচন করছে। যারা গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চায় তারা বলে সমস্ত ক্ষমতার মালিক। সেখানে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। আমি আর উদাহরণ দিতে চাই না।
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করতে চায়। যেটার উদাহরণ আমাদের পাশের রাষ্ট্র ভারত। সেখানে মানবতা সভ্যতা কোনটা আছে। বরং সেখানেও অশান্তি। এটা দুনিয়ার কথা। ইসলাম ছাড়া অন্য কোন নীতি আদর্শ আমার কাছে গ্রহনযোগ্য না, এটা আল্লাহ বলেছেন। মোদী আলোচনায় বলছিল, আল্লাহর নাম উল্লেখ করে যে শান্তি যদি চাও, নীতি আদর্শ ফলো করতে পারো। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় একশ জন মনীষীর নাম লিপিবদ্ধ করেছেন। সেখানে এক নম্বরে আমাদের মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) এর নাম।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন ২০০৩ সালে চরমোনাই ইউনিয়নে প্রার্থীতা করছিলাম তখন হিন্দুরা আমাকে ভোট দেয়নি। তাদেরকে ভুল বোঝানো হয়েছিল যে আমি হুজুর। আমি চেয়ারম্যান হলে তাদের যে মুর্তি সব ভেঙে ফেলে দিব। কিন্তু আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি। নির্বাচিত হওয়ার পরে হিন্দুরা বলেছিল আমরা ভুল করেছি। আমরা এখন ঘরের দরজা খুলে পুজো করতে পারি। এবার হিন্দুরা মিষ্টি ফল নিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে। আমি বললাম যে দেখ, এটাই হল ইসলাম শান্তির প্রতীক।
মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হাজী আব্দুল মালেক, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ ইরান হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. বিল্লাল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হাজী মোঃ ইসমাইল, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ডা. মিজানুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নুরুল আমিন দুলাল, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. সোহেল রানা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি এম. শফিকুল ইসলামসহ থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এসময় মুফতি মাসুম বিল্লাহ নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভোটের রেজাল্ট সঠিকভাবে দিতে না পারলে নারায়ণগঞ্জ থেকে কাউকে যেতে দেয়া হবে না। ইভিএম মেশিন দিয়ে কোন দুর্নীতি বা কারচুপি করলে আমাদের কর্মী বাহিনী তার যথোপযুক্ত জবাব দিতে বাধ্য হবে। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আমরা আঙুল বাঁকা করতে জানি।