নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : টানা ১০ বছর ধরে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েমের পর নারায়ণগঞ্জ জেলার পূর্বাঞ্চলের (বন্দর উপজেলার মদনপুরের) বর্তমান সময়ের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ খলিল ও তার বাহিনীর অবসান হতে চলেছে বলে দাবী করেছেন স্থানীয়রা। রবিবার দুপুরে মদনপুর ও নিকটস্থ চাঁনপুর থেকে চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা, পুলিশের উপর হামলা, পুলিশের অস্ত্র লুট সহ বিভিন্ন মামলার আসামী হিসেবে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে এর মেম্বার খলিলুর রহমান সহ ১২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজী, দোকানপাট লুটপাট, সরকারী কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের উপর হামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ বিভিন্ন মামলায় চার্জশীটভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার মাধ্যমে এ অঞ্চলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরিসমাপ্তি ঘটবে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
সূত্র মতে আরও জানা গেছে, গত ১২-০১-২০১৯ইং তারিখে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাইয়ের সময় পুুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে খলিল বাহিনীর গুলিতে আশিক নামে এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ বাদী হয়ে খলিলকে প্রধান আসামী করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, পরিবহণে চাঁদাবাজী, দখলবাজী, মাদক, অবৈধ গ্যাস সংযোগ সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ এ অঞ্চলে চলতো খলিলের ইশারায় এবং এ কাজ করতে বিশাল একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
খলিল ও তার বাহিনীর গ্রেফতারের খবরে মদনপুরবাসী স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছে এবং বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরন করেছে বলেও জানা গেছে। খলিল বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ জনগণ আইন অনুযায়ী তাদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।