ত্যাগীদের নেতৃত্বেই আসছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ  প্রতিবেদক ) : দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর। পলাতক ও কারাভোগের রাত্রীযাপন। স্থবির হয়ে পড়া বিএনপি রাজনীতিতে থেমে নেই আন্দোলন সংগ্রাম। শেষ হতে যাচ্ছে এমন অনেক নেতাকর্মীর অপেক্ষা। ঘোষনা হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি। শুনতেই যেন একটা স্বস্তির নিশ্বাস পড়ে পদ প্রত্যাশীদের। প্রতিনিয়তই চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কবে আসছে, কারা আসছে এ কমিটিতে? এ প্রশ্ন এখন অনেকরই।

দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইতমধ্যে একাধিকবার যাচাই বাছাই শেষে কেন্দ্রে পৌছেছে একটি তালিকা। সবকিছুই এখন শেষের দিকে। কেন্দ্রীয় সবকিছু সম্পন্ন  হলে চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের শুরুতেই হতে পারে এ কমিটি’র ঘোষনা। তবে কমিটি যেমনই হোক ত্যাগী ও নতুন মেধাবীদের নেতৃত্ব চায় তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে সভাপতি করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু। আংশিক কমিটি ঘোষনার ৫ মাস পর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকেই সভাপতি রেখে ২০১ সদস্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে দেয়া হয় মহানগর যুবদলের কমিটি।

এদিকে কমিটি বাতিলের পর থেকে শুরু হয়ে গেছে নানা গুঞ্জন। আসতে শুরু করেছে অনেকরই নাম, যেখানে রয়েছে অনেক সাবেকরাও। যাদের মধ্যে আহ্বায়ক হতে প্রত্যাশী উল্লেখযোগ্য হলো- সাবেক কমিটির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, যিনি ইতমধ্যে মহানগর বিএনপিরর যুগ্ম সাধারণ সম্পদক থেকে সরে দাড়িয়েছেন। তবে সবুজ সংকেত পেয়েই এই পদ ছেড়েছেন এমনটাই বলছেন তৃণমূলে অনেকে। সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মমতাজ উদ্দিন মন্তু, আলোচনায় রয়েছেন মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ, যিনি বর্তমানে বেশ তোড়জোড় করেই কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে সদস্য সচিবে প্রত্যাশী তালিকায় রয়েছে, সাবেক সহ সভাপতি রানা মুজিব, সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান,  সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, মহানগর ছাত্রদলের সাহেদ আহম্মেদ।

এ বিষয়ে সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান বলেন, মহানগর যুবদলের যদি কেউ থাকে তাহলে সকলেই জানে খোরশেদ বনাম সাগরই ছিল। রাজপথে সকল আন্দোলন, সংগ্রামে কর্মসূচী পালন করেছি। আর এখন অনেকেই উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। যারা দীর্ঘ সময় বলতে গেলে রাজনীতির সকল কর্মসূচী থেক বাহিরে ছিল। এখন তারা পদ নিতে এসে পড়েছে। আবার কেউ কেউ মূলদল থেকেও চলে আসে আমাদের মহানগর যুবদলের মধু আহরণ করতে। আমরা চাই নতুনরা আসুক, তারা আমাদের সাথে এসে সাংগঠনিকভাবে আরো দক্ষ হোক। তাহলেই আমাদের দল আরো শক্তিশালী হবে।

সাবেক কমিটির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, আসলে মূলদলে পদ দেয়া হলেও যেখানে আমাকে রাখা হয়েছে সেখানে থেকে আমি দলের জন্য তেমন মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারবোনা। তাই পদ ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়া আমি র্দীঘদিন যুবদলের নেতৃত্বে কাজ করেছি। কেন্দ্রীয় নেতারা যদি মনে করে আমি ভালো নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য তাহলে আমাকে ভালো পদ দেয়া হতেও পারে। আর আমি আশাবাদি। খুব শিঘ্রই কমিটি ঘোষনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছুটা সংশয় রয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ তারিখ যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলো সাবেক নেতা সহ নতুন প্রত্যাশীদের অনেকেই। ঘন্টার পর ঘন্টা চলেছে র্দীঘ আলোচনা। আর সেখানেও ঈঙ্গিত দেয়া হয়েছে শিঘ্রই আহবায়ক কমিটি দেয়া হবে। আর তারাই ২৭টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনে সুষ্ঠু ভূমিকা রাখবে। এরপর সম্মেলনের মাধ্যমে দেয়া হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি

add-content

আরও খবর

পঠিত