নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : চাষাঢ়ায় বোমা হামলায় আহত এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল বলেছেন, আপনারা লক্ষ করেছেন আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখানে উপস্থিত হননি। যারা ত্বকি হত্যা নিয়ে তৎপর থাকলেও বোমা হামলায় ২০টি তাজা প্রাণ হারানোর ঘটনায় তারা চুপচাপ। ১৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে বোমা হামলার প্রতিকী স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মোশতাকের বংশধররা এখনও আওয়ামী লীগের ভেতরে আছে। যে কারণে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা যে নাকি এ বোমা হামলা ঘটনার বাদি, তাকে আইসিটি আইনে একটি মামলায় আসামী করা হয়েছে। তাই সে হাজিরা দিতে গিয়েছেন। আমি মনে করি এ মামলা পরিচালনায় বাধাগ্রস্থ করতেই এ মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি আমাদেরই আওয়ামী লীগের একজন উচ্চ পদস্থ নেতা। যারা দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থেকে ষড়যন্ত্র করে। কেউ কেউ বোঝানের চেষ্টা করে যে এটা আওয়ামী লীগেরই সাজানো ঘটনা। আর এই বোমা হামলা আমি, দু পা হারানো রতন দাস এবং আওয়ামী লীগের কান্ডারী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান করেছে! অথচ আমাদের সহ শামীম ওসমানকে মেরে ফেলতেই এই বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৬ই জুন বৃহস্পতিবার ছিলো নারায়ণগঞ্জের আওয়মী লীগ অফিসে বোমা হামলার ট্রাজেডি দিবস। দিনটি স্মরণে সকাল থেকেই প্রতিকী স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এ হামলায় আহত ও নিহতের স্বজনরা। এরপর শ্রদ্ধা জানায় মহানগর আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতৃবৃন্দ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ, সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই।
এরআগে ২০০১ সালের ১৬ জুন শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওইদিন রাতে এ বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২০ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছিল। আহত হয় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।