সরকারের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি থাকলেও তোয়াক্কা করছে না সংশ্লিষ্টরা
নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : জ্যৈষ্ঠের খরতাপে জনজীবন হয়ে উঠেছে নাভিশ্বাস। তার সাথে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। দিনরাত লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা কাহিল। এতে করে স্বাভাবিক র্কায্যক্রম এখন বাধাগ্রস্থ। একেতো তীব্র তাপদাহ তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও। গত কয়েকদিনের টানা তাপদাহে অস্বস্তিতে পড়েছে শ্রমজীবি ও র্সবসাধারণ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রখর রৌদে বেশ প্রভাব পড়েছে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক ও মার্কেটগুলোতেও। গতকাল দুপুরে শহরের চাষাঢ়া ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ব্যস্ত সড়ক যেন ছিলো অনেকটাই ফাকাঁ। ঈদ নিকটে চলে আসলেও মার্কেটগুলোতে বিকেলের আগ পর্যন্ত তেমন একটা ভিড় নজরে আসে নেই।
শহরের সমবায় মার্কেটে আসা নাজমুল নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রচন্ড গরম এটাতো প্রাকৃতিক, মেনে নিলাম। কিন্তু এর সাথেই প্রতিযোগীতা করে ঘন ঘন বিদ্যুত চলে যাওয়াটা মেনে নেয়ার মত নয়। তাই সন্তানদের জন্য জামা কাপড় দেখতে এলেও তাদের নিয়ে আসি নেই। এখন দেখে যাবো ইফতার এর পরে বাচ্চাদের নিয়ে কিনে নিয়ে যাবো। কারণ এতো গরমে মার্কেটগুলোতে বিদ্যুত না থাকায় তাদের পাখার ব্যবস্থা থাকলেও কাজে আসেনা।
এদিকে চাষাঢ়া এলাকার বাসিন্দা শেখ মাকসুদুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় জনজীবন দূর্বিসহ করে তুলেছে। দিনে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী লোডশেডিং দিয়ে শুরু হয় প্রথম ধাপ। সন্ধ্যার পরে দ্বিতীয় ধাপে গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিদ্যুত দেয়া নেয়ার পালাক্রমের খেলা। রমজান মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা তোয়াক্কা করছে না সংশ্লিষ্টরা। এতে ইফতার ও সেহরিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোজাদাররা।
অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সংকটের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, বন্দর, রূপগঞ্জ সহ বিভিন্ন উপজেলার ছোট-বড় কলকারখানার বিদ্যুত নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, সরকারী-বেসরকারী অফিসের কার্যক্রমসহ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজিতে অনেকেই তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ীরা।
দিনের বেলায় রোদের কারণে বাসা-বাড়ি থেকে বের হওয়ার উপক্রম নেই। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। দিনে যেমন রোদের খরতাপ তেমনি রাতে বইছে গরম হাওয়া। ফলে অফিসগামী মানুষ, শ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং অল্প বয়সের শিশুরা গরম ও তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে হিটস্ট্রোক সহ নানাবাহী রোগে।