নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে ফরাজীকান্দা এলাকায় ফসলী জমিতে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে ফের উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে স্থানীয় এলাকাবাসী। ড্রেজার ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংশা করা হলেও কোন ক্রমেই থামানো যাচ্ছে না উভয়পক্ষের উত্তেজনা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকার জাতীয় পার্টি নেতা বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন শাওনের সাথে একই এলাকার আহসানুল্লাহ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়ার সাথে ড্রেজার ব্যবসার নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। একে অপরকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। সম্প্রতি সময়ে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ঘটে।
তাছাড়া হাতাহতিতে রুপ নেয়। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের সামনেই সাজ্জাদ হোসেন শাওনকে বেধরধ পিটিয়ে রক্ষাক্ত করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী খোকন মিয়াগং। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বন্দর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আপোষ-মিমাংসা করলেও বাস্তবিক কোন সমাধান হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় খোকন মিয়াগং। এই ড্রেজার ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে খোকন মিয়াসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী আরিফ ঢালীর জামাতা বহুরুপি আজাহার, একই এলাকার সুজন, সুমন ও তাজু, গ্যাসচোর খোকন মৃধাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে ফরাজীকান্দা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে। খোকন মিয়াগং ফরাজীকান্দা এলাকায় নিরিহ মানুষের জমিতে জোরপূর্বক দখল করে হয়রানীসহ নানা অপকর্ম তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। অনেক পরিবারকে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নিস্ব হতে হয়েছে। ফরাজীকান্দা এলাকার আহসানুল্লাহ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াগংরা ক্ষমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যে কোন মূল্যে তারা ড্রেজার ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করবে বলে বেড়াচ্ছে। খোকন মিয়াগংরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় শোডাউন করছে। যে কোন সময় ড্রেজার ব্যবসাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে। এ ড্রেজার ব্যবসার নিয়ন্ত্রনের সৃষ্ট দ্বন্দের ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মনে শংকা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে উভয়পক্ষের দ্বন্দ নিরসন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।