নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : আড়াইহাজারে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ২ নারীসহ ৫ প্রতারক। ৩১শে শনিবার রাতে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় জনতা ওই ৫ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পাল্লা এলাকার স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আল আমিনের বাড়িতে প্রবেশ করেন ২ নারীসহ ৫ জন। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে আল আমিনের স্ত্রী রেখা বেগমকে মাদক ব্যবসায়ী বলে আখ্যা দেয় এবং গ্রেফতারের ভয় দেখায়। এ সময় তারা রেখা বেগমের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে।
এ সময় রেখা বেগমের ঘর তল্লাশি করে ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ একটি ব্যাগও নিয়ে নেয়। রেখা বেগম তাদের বাধা দিতে গেলে ওই ২ নারী রেখা বেগমকে সেখানে প্রহার করা শুরু করেন এবং তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীদের ঘিরে ফেলেন।
এ সময় উপস্থিত সোহেল নামের একজন পুলিশের পোশাক পরিহিত আইডি কার্ড দেখাতে পারলেও বাকিরা কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন তারা কোনো পুলিশ সদস্য নয়।
এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীরা দৌড়ে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন তাদের মধ্যে প্রতারক সোহেল রানা (৩৩), রাজু মোল্লা ওরফে সুজন (৩৪), শাহাদাৎ হোসেন ওরফে সুমন (৩২), মনি ইসলাম (৩৩) ও তামান্না আক্তারকে (২৯) আটক করে গণপিটুনি দেয়। ওই সময় প্রতারক আতাউর রহমান বকুল ওরফে মনিরুল ইসলাম (৫২) নামে অপর প্রতারক পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ নারীসহ ওই ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ১লা আগস্ট রবিবার দুপুরে রেখা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পলাতক আসামিকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।