নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক বলেছেন, আমরা প্রায়ই পত্রিকার শিরোনাম হয়েছি। স্কুলের শিক্ষক দ্বারা ছাত্রী হয়রানী। এখানের প্রধান শিক্ষক আপনাদেরই মত একজন মা। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো প্রতি ১৫ দিন না হোক প্রতি ১ মাস পর পর আপনি আপনার যে মেয়ে বাচ্চাগুলো আছে তাদের সাথে বসেন। তাদের একটু জিজ্ঞাসা করবেন কোথাও কোন সমস্যা আছে কিনা। কারণ কোনও না কোন কেউ একজন করবে তার জন্য পুরো নারায়ণগঞ্জ কেন আমরা বদনাম নিবো। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিশু ভর্তি ও ঝরে পড়া নিশ্চিত কল্পে মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আপনাদের যিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছেন তার দরজা প্রতিদিন খোলা আছে। কখনো কোন জায়গায় যদি মনে হয় জানাতে হবে সরাসরি চলে আসবেন, সেটা যেরকম সমস্যাই হোক। আমরা সেটা সমাধান করার চেষ্টা করবো। এসময় তিনি মায়েদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বাচ্চার প্রতি একটু বাড়তি মনোযোগ একটু খেয়াল রাখবেন। যেন কোন ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা-পয়সার অভাবে কিংবা কোন কারণে ঝরে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বাল্য-বিবাহ বন্ধে আগে আমাদের সচেতন হতে হবে। এসময় তিনি মায়েদের শপথ করান যেন কেউ মেয়েকে বাল্য-বিবাহ না দেন।
মা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল হক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সামিনা নারগিস। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রণজিৎ মোদক, সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা সুলতানা, টাচ্স্টোন এডুকেশনাল হোমের অধ্যক্ষ সেলিনা সুলতানা, হাজীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন শিকদার, সেহাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ মান্নান, কুতুবআইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম, ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তানজু হাসান, মীর ফয়সাল আলী, রোমানা সিদ্দিক, মাহাবুবুর রহমান খোকা ও অন্যান্য সকল শিক্ষকবৃন্দ।
এ সময় ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার উদ্বোধন ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন, ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আঃ মোতালেব গাজী ও সোহরাব হোসেন।