নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগে মামলা রুজু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যৌতুকের দাবিতে এমন অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন তারই সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৩)।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে মাকসুদ হোসেন তাঁকে বিয়ে করে। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় তাঁর প্রথম বিয়েটির কথা গোপন রেখেছিলেন। সুলতানা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দেন। কিন্তু মাকসুদ তাঁর কথা শোনেননি। উল্টো তাঁর স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রির চাপ দেন। ওই সম্পত্তির মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। সেই সম্পত্তি বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন মাকসুদ তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফেলে রেখে যান। ২০২২ সালে ফের চাপ দিলে ফের সম্পত্তি বিক্রি করে আসতে বলেন মাকসুদ। বারবার স্ত্রীর বাবার সম্পত্তি দাবি করায় ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী।
গত ২১ এপ্রিল রাত ১১টায় মাকসুদ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে বন্দরের মদনপুরে সুলতানা বেগমের বাবার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় মামলা তুলে নিতে চাপ দেন এবং ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রি করে মাকসুদের হাতে দিলে তাঁকে পুনরায় স্ত্রীর মর্যাদায় ঘরে তোলার প্রলোভন দেখান। প্রস্তাবে রাজি না হলে মাকসুদ ক্ষিপ্ত হয়ে সুলতানা বেগমকে খুন করার হুমকি দেয়। এ সময় মাকসুদ ও সুলতানার মেয়ে ইসরাত জাহান শ্রাবন্তি মাঝে এসে বাধা দিলে মাকসুদ তাকে মারধর করে সরিয়ে দেন। পরে সুলতানাকে বেধড়ক মারধর করে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে কথা হলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, তথ্য সঠিক। আজ বুধবার মামলা হয়েছে। এতে সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে মাকসুদ হোসেন জানান, তার সাথে ২৫ বছর আগেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন বিভিন্ন লোকেরা চক্রান্ত করে এটা করিয়েছে। আর সে যে অভিযোগ করেছে, তার বাসায় গিয়েছি, এসব মিথ্যা। তার কি বাসা আছে? সে কি বাসায় থাকে। কোন বাসায় গিয়েছি। এগুলি মিথ্যা। আর মিথ্যা মামলা দিলে কি করার।