নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : অয় শুনছ, অয় মিয়া। কে ভাই আমি! হুম। কি ভাই? তোমাকে বড় ভাই ডেকেছে! আমাকে ডেকেছে? কোথায়, কোন বড় ভাই? এইতো সামনে বসে আছে। আমার সাথে চল। এভাবেই ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ডিজিটাল ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। বিশেষ করে এতে টার্গেট করা হচ্ছে তরুণ ছেলেদের। শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ায় এমন বড় ভাই নামক ছিনতাইয়ের আর্বিভাব ঘটেছে।
ভুক্তভোগীর এমন ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত তখন সাড়ে ১০টা। সাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল দুই বন্ধু। পেশায় গার্মেন্ট কর্মী। ওই সময়ই হঠাৎ পিছন থেকে একজনের ডাক চলে আসে। দেখতেও সে স্মার্ট। তখনো তারা জানতো না যে ছিনতাইয়ের শিকার হতে যাচ্ছে।
তারা জানায়, তাকে দেখেও বুঝার উপায় নেই সে ছিনকাইকারীর লোক হতে পারে। তারপর উত্তর চাষাড়া ( ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহা সড়ক ) গলি হয়ে সামনে নিয়ে খালি জায়গায় ঢুকিয়ে বেধরক মারধর করতে থাকে। ওইসময় তারা ৪ থেকে ৫জন ছিল। একপর্যায়ে আমাদের দুইজনের কাছ থেকে সাথে থাকা ৩ টি মোবাইল ফোন এবং ১ টি সাইকেল তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আরো জানা যায়, এসময় তারা বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গের নামও ভাঙ্গায়। রাত ১টা পর্যন্ত তাদের আটকিয়ে রাখা হয়। দ্রুত টাকা আনাতে বলা হয়, তা না হলে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসায় মুঠোফোনে কল দেয়া হয়। পরে বিকাশ করে (০১৩১৬-০৯৪১৩৬ এই নাম্বারটিতে) আনানো হয় ১০ হাজার টাকা, দেয়া হয় আরো একটি নাম্বার ০১৮৩২-০৫৩১২৭। তবে ভুক্তভোগীকে পুলিশের সহযোগীতা নিতে বলা হলে, ভীত প্রকাশ করে এবং নাম প্রকাশেও অনিচ্ছা জানায়। ভুক্তভোগীরা অনুরোধ করে জানায় আমরা খুব গরীব। একটি কারখানায় কাজ করি। কাজ শেষে চাষাড়ায় এসেছিলাম। কিন্তু আমরা কোন সমস্যায় জড়াতে চাইনা।
এ ব্যপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ ( ওসি ) মো. আসাদুজ্জামান জানায়, আমরা আজ থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোন বড় ভাইকে এধরনের কাজ করতে দেয়া হবেনা। সাধারণ মানুষের চলাচলে কেউ বিঘœ ঘটাবে, ছিনতাই করবে তাদেরকে খুব শিঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ভুক্তভোগী যদি থানায় আসে, তাহলে ওইসব ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরো সহজলভ্য হত। তাই অনুরোধ থাকবে কেউ কোন সমস্যায় পড়লে অবশ্যই যেন থানায় র্নিদ্বিধায় চলে আসে।