নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : গত কয়দিনের টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে একাকার। অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় শহরতলীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি। এজন্য পরিষ্কার করা হচ্ছে শহরের ড্রেনগুলো। তবে ড্রেন পরিষ্কার করা হলেও অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে বর্জ্যগুলো। ড্রেন থেকে তুলে রাখা এসব বর্জ্য ফুটপাতে পড়ে থাকায় যেমনি দূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এমন অবস্থায় পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গেছে!
আর এসব নোংরা ময়লা মাড়িয়েই চলতি মানুষ পড়েন ভোগান্তীতে। এতে করে চলাচলে বিঘ্ন তো ঘটছেই, পাশাপাশি নানা দূর্ঘটনার সম্মূখিন হচ্ছে পথচারীরা। কখনো বা হাটতে গিয়ে পা পিছলে ফুটপাতে রাখা ওই ময়লা র্বজ্ব্যে পড়ে গিয়ে নোংরা হচ্ছে পথচারীদের জামা কাপড়।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সড়কের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। যার বর্জ্য অপরিকল্পিতভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে শহরের ফুটপাতে। এর আগেও গত শনিবার এভাবেই ড্রেনের ময়লা ফুটপাতে ফেলে রাখা হয়েছিলো। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বসাধারণের। তবে বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্ব পাশের ফুটপাতে সারিবদ্ধভাবে ড্রেনের ময়লা ফেলে রাখার দৃশ্য এতোদিন হলেও অপসারণে এগিয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই ময়লা ফুটপাতে ফেলে রাখার কারণে ফুটপাতের অর্ধেকটা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পথচারীরা দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে নাকে-মুখে রুমাল চেপে ধরে চলাচল করছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একজন ভুক্তভোগী জানায়, সড়কের পাশে চকচকে ফুটপাতে হাটাঁচলার জায়গা করা হলেও তার অর্ধেকই এখন ড্রেনের ময়লার স্তুপ দখল করে নিয়েছে। এখানে হাটতে গেলে ময়লা পায়েতো লাগেই কাপড়েও লেগে যায়। এর মধ্যে কিছু অংশ সড়কে তলিয়ে যাওয়া পানির সাথে ফুটপাতে সমান হয়ে যাওয়ায় ড্রেনের খোলা অংশ চোখেও পড়েনা। হাটতে গিয়ে পড়ে যেতে হয় কোমর র্পযন্ত ড্রেনে। যে কারণে এ সড়ক দিয়ে এখন আর স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যাচ্ছে না।
রুবেল নামের এক ব্যক্তি ক্ষুব্দ কন্ঠে বললেন, এটাকে চলাচলের পথ কিভাবে বলা যায়, যেখানে রয়েছে ময়লার স্তুপ, আর সড়কে রয়েছে নোংরা ময়লা যুক্ত কাদা। এটা কি কখনও স্বাভাবিক চলচলের স্থান হতে পারে? ফুটপাত এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গেছে!
এ ব্যপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য বিভাগের প্রধান হিরন বলেছিলেন, এ কাজগুলি আসলে কন্ট্রাটকটাররা করে। তারা এগুলি সরিয়ে নেয়নি। তবে দ্রুত এগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে বলে তিনি ঠিকাদারদের জানাবেন বলে বলেছিলেন। যার কোন ফলশ্রুতি হয়নি।