নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা আতঙ্কের মধ্যে আর ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিল দেয়ার প্রয়োজন নেই। ধীরে-সুস্থে দিলেই হবে। কেননা, গ্যাস বিল দেয়ার ক্ষেত্রে আগামী জুন পর্যন্ত এবং বিদ্যুৎ বিল দেয়ার ক্ষেত্রে মে মাস পর্যন্ত বিলম্ব মাশুল বা জরিমানা মওকুফ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২২ মার্চ রবিবার জ্বালানি বিভাগের উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবসিক গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে প্রায় একই সময়ে উপস্থিত হতে হয়। বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করে। এর প্রেক্ষিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. মামুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা গ্রাহকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেছি। বিলম্ব মাশুল না নেয়ার কারণে ধীরে-সুস্থে গ্রাহকরা তাদের গ্যাস বিল দিতে পারবে। ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে আর ফেলতে হবে না। অথবা অন্য কোনও কারণেও যদি বিল দিতে দেরি করেন তাও জুন পযন্ত তার বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছে।
তবে গ্যাসের মতো বিদ্যুতে জুন পর্যন্ত নয়, তিন মাসের সারচার্জ ও বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, করোনা প্রতিরোধে গৃহস্থালির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে বিলম্ব মাশুল ও সারচার্জ সাময়িক সময়ের জন্য মওকুফ করেছে তারা। গ্রাহকরা গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিল মাসের বিল কোনও বিলম্ব মাশুল ছাড়াই পরিশোধ করতে পারবেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আইরিন পারভীন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেক গ্রাহকই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিল মাসের বিল পরিশোধ করতে পারবে না বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে এই তিন মাসে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনও বিলম্ব মাশুল বা সারচার্জ দিতে হবে না। অবিলম্বে বাংলাদেশ এনাজি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর মাধ্যমের এই আদেশ কার্যকর করার আদেশ দেয়া হয়েছে। এই আদেশ শুধুমাত্র আবাসিক গ্রাহকদের জন্য বলেও উল্লেখ করা হয়।