গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তার অনুসারীদের। গিয়াস উদ্দিনকে দক্ষ সংগঠক উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তার। সরকারি দলের নেতাদের জন্য গিয়াস উদ্দিন একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি থেকে তাকে বাদ দিতে সরকারি দলের নেতারা বিএনপির একটি অংশকে দিয়ে গিয়াস পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

২১শে মে  শনিবার বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন বিএনপির একাংশের নেতারা। এই অংশটি বিএনপির সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল বারী ভূঁইয়া বলেন, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য। বিএনপির নির্বাহী কমিটিরও সদস্য তিনি। নারায়ণগঞ্জে তার পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেলার যেখানে যাই ঘটুক না কেন গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজনকে সেই ঘটনার মামলায় আসামী হয়েছেন। গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্তত অর্ধশত রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছে।

এদিকে, লিখিত বক্তব্যের একটি অংশের আব্দুল বারী বলেন, দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী হিসেবে মামুন মাহমুদও অন্যতম। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, গিয়াস অনুসারীদের কেউ কমিটিতে স্থান পাবে না। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলে পদ-পদবী পাওয়ার লোভে মামুন মাহমুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে কেউ। এর সাথে সরকারি দলের কিছু নেতাও জড়িত আছেন। তবে এই ঘটনায় গিয়াস উদ্দিনসহ তার পরিবারকে জড়ানোর যে ষড়যন্ত্র চলছে তা অত্যন্ত দু:খজনক, লজ্জাজনকও বটে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে দলের ভেতরের কিছু ব্যক্তি যেমন জড়িত তেমনি তৃতীয় পক্ষও সম্পৃক্ত। উভয় পক্ষই গিয়াস উদ্দিন সাহেবকে প্রতিপক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস এম আসলামসহ শতাধিক নেতা-কর্মী।

উল্লেখ্য, গত ২৫শে এপ্রিল রাতে রাজধানী ঢাকার পল্টনে ছুরিকাহত হন মামুন মাহমুদ। তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয় জুয়েল মীর নামে এক ব্যক্তি। পরে এই ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয় জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাগর সিদ্দিকীকে। গত ২৯শে এপ্রিল গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান চালায় পুলিশ।

add-content

আরও খবর

পঠিত