গাজীর পাশে হেভীওয়েট নেতারা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ—১ আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীরপাশে অবস্থান নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জ থেকে দলীয় নেতারা রূপগঞ্জে এসে প্রচার—প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে উজ্জীবিত হয়ে উঠছে রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূল কমীরা।

দলীয় নেতারা বলছেন, বিগত ১৫ বছরে সারাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার যেই উন্নয়ন করেছে, মন্ত্রী গাজীর হাত ধরে সেই উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে রূপগঞ্জ। ফলে এবারও এই আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

জানা গেছে, আসনটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তার পাশে বিতর্কিত ব্যক্তিদের সমাগম থাকায় সমালোচনার জালে জড়িয়েছেন কেটলি প্রতীকের এই প্রাথী। একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মহল শাহজাহানকে ভোটের মাঠে নামিয়েছেন— এমন গুঞ্জনও জোরালো হয়েছে। ওই মহলটি এবার নৌকার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করলেও মন্ত্রী গাজীর শক্ত অবস্থানের কারণে তাদের ষড়যন্ত্র ফিঁকে হতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের প্রসিদ্ধ নেতাকমীরা।

এদিকে, রূপগঞ্জে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে একাট্টা হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ—সংগঠনের নেতাকমীরা। প্রায় প্রতিদিনই শহর থেকে রূপগঞ্জে এসে নৌকার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা।

ইতিমধ্যেই, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু এবং মহানগর আওয়ামী লীগেরসাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম আরাফাত সহ নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বশীল আওয়ামী লীগ নেতারা মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়ে যাচ্ছেন। তারা প্রায় প্রতিদিনই নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করছেন। তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গোলাম দস্তগীর গাজীর উন্নয়নের চিত্রও।

সূত্র বলছে, নৌকার প্রার্থী মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পাশে নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বশীল আওয়ামী লীগ নেতারা অবস্থান নেয়ায়, এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তার অনুসারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে। তারা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও মন্ত্রীর পাশে দায়িত্বশীল নেতারা থাকায় সেই চেষ্টায় সফল হচ্ছেন না।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রূপগঞ্জে মন্ত্রী গাজী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। তাই রূপগঞ্জে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিকল্প নেই।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, আমি রূপগঞ্জে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় এসেছি। বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছি। আমার কাছে নৌকার অবস্থানই সবচেয়ে বেশি ভালো মনে হয়েছে। আশা করছি, এবারও নৌকার বিজয় হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে রূপগঞ্জে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ন নিবাচন হবে। তবে এখানে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন নৌকার প্রার্থী মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর সাহেব।

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম থাকলেও তিনি ভোটে তিন নম্বর হতে পারেন। লড়াই হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে। তবে নৌকার ভোট ব্যাংক রয়েছে। মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর বিগত সময়ে রূপগঞ্জে উন্নয়নও করেছেন। তাই আমরা আশা করছি যে, রূপগঞ্জে নৌকার বিজয় হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, গত ১৫ বছর ধরে সারাদেশে যেই অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, সেই উন্নয়নের ছোঁয়া  রূপগঞ্জে লেগেছে। এক সময় রূপগঞ্জ উপজেলাটি অজপাড়াগাঁ ছিলো। এখন উপজেলাটি আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। এখানে গোলাম দস্তগীর গাজীর মারফতে বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট হয়েছে। যেমন গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) সেতু, গাউছিয়া  ফ্লাইওভার, কাঞ্চনে মেগা সড়ক— এমন বড় প্রজেক্ট হয়েছে। পাশাপাশি তিনি মানুষের মৌলিক চাহিদা এবং নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করণেও ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশে যখন করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছিল, চিকিৎসা পাচ্ছিল না, তখন একমাত্র গোলাম দস্তগীর গাজী ব্যক্তিগত উদ্যেগে করোনা সনাক্ত করণ ল্যাব করেছেন। বিভিন্ন কারণেই নৌকার ভোট ব্যাংক রয়েছে রূপগঞ্জে। গাজী সাহেবের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে আমরা মনে করি রূপগঞ্জে বিগত সময়ের মত এবারও ব্যাপক ব্যবধান নিয়ে নৌকার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।

গত বৃহস্প্রতিবার রূপগঞ্জে নৌকার প্রচারণায় এসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে উন্নয়ন করেছেন। রূপগঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নৌকার প্রার্থী মন্ত্রী গাজী সাহেবের মাধ্যমে রূপগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেই উন্নয়ন করেছেন, তা এখন দৃশ্যমান। এই আসনের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাআবারও মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেবকে নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনিত করেছেন। আমরা দেখেছি রূপগঞ্জের মানুষ মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে কতটা ভালোবাসে। তিনিও রূপগঞ্জের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, কোনো ষড়যন্ত্রই নৌকার বিজয় রুখতে পারবে না। আবারও মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বিপুল ভোটে নিবাচিত হবেন ইনশাআল্লাহ।

এদিকে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। দুই একটা মিছিল হয়। আর আমাদের ১২৯টি কেন্দ্রেই নৌকার মিছিল হচ্ছে। যুবলীগের মিছিল হচ্ছে। মহিলা লীগের মিছিল হচ্ছে। যুব মহিলা লীগের মিছিল হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মিছিল হচ্ছে। একটি গ্রামে চার—পাঁচটি অংশে মিছিল হচ্ছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি, এখন মানুষআমার ভোটের জন্য কাজ করছে। আমি মানুষের পরিপূর্ন ভালোবাসা পাচ্ছি। জনগণ আমাকে ভালোবাসে। যেখানে অসুবিধা, সেখানে গিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাকে যে যখন ডেকেছে, তখন তার ডাকে সারা দিয়েছি। আমার পরিবারের সকলেই মানুষের পাশে ছিলো। সাধারণ মানুষের ভোট আমি চিন্তিত নই।

add-content

আরও খবর

পঠিত