গাছ থেকে পড়ে আহত রাব্বি, বাড়ির মালিকের সহযোগীতার আকুতি পরিবারের

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : গোদনাইলে জাম গাছ থেকে পড়ে গুরুতর আহত রাব্বির অবস্থা আশংকাজনক। সে বর্তমানে ঢাকা পঙ্গুতে ভর্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। রাব্বীর পিতার নাম চন্দু। তিনি পানির পাম্প হাউজে কাজ করে। তার সাথেই কাজে সহায়তা করে এই রাব্বী।

তবে বাড়ির মালিক আফিয়া বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বৃহস্পতিবার গোদনাইল এলাকায় তার বাড়িতে জাম গাছে রাব্বিকে জাম পেড়ে আনার জন্য উঠানো হয়। এসময় বৃষ্টিতে গাছ ভিজা থাকায় সে পড়ে যায়। কিন্তু তের বছরের এমন শিশুকে কেন গাছে উঠানো হলো এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন রব্বির পরিবার ও স্থানীয়রা।

কিন্তু এ ব্যপারে বাড়ির মালিক আফিয়া বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানায়, ধনুকুন্ডা পপুলার হাই স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। রাব্বি প্রতিদিনই এখানে খেলাধূলা করতে আসতো, ও খুব ভালো ছেলে। ওই দিন ও নিজ ইচ্ছাই গাছে উঠেছে। আমি কয়েকবার নামার জন্য ডেকেছিলাম। পরে আমি আমার বাসার ভিতরে গেলে শব্দ শুনে দৌড়ে এসে দেখি রাব্বি নিচে পড়ে আছে।

এরপর চিৎকার করলে ভাড়াটিয়ারা এসে সাহায্য করে। পরে তাকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পঙ্গুতে নিয়েছে আমরা জেনেছি। এবং আমি মহিলা হওয়ায় পুরুষদের খোজঁ খবর নিতে বলেছি। এছাড়া তার পরিবারের সাথে আমার যোগাযোগ রযেছে। আমি কিছুটা সহযোগীতা করেছি। তারপরেও আমি তার সহযোগড়ীতা করবো। ও আমার ছেলের মতই। আমিও তো কারো মা।

জানা গেছে, গাছ থেকে পড়ে রাব্বি মাথায় এবং তার ডান হাতে আঘাত পায়। বর্তমানে তার খুবই খারাপ অবস্থা। তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় পঙ্গুতে ভর্তি করা হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরে আসেনি বলে জানান আহতের মা। ধীরে গতিতে চিকিৎসা চলছে। কারণ তারা গরিব। তাদের পাশে কেউ নেই। তাই শিক্ষিকা আফিয়া বেগমকে পাশে থাকার আকুতি করে।

এছাড়াও রাব্বি পাশের শাহ-জালাল জামে মসজিদের অনেক কাজ করে থাকতো। ছেলেটির এই অবস্থায় মুসল্লিদের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আফিয়া বেগমর স্বামী ইতালি প্রবাসী। এই ব্যাপারে এলাকার সচেতন মানুষ মানবিক দিক বিবেচনা করে রাব্বীর প্রতি শিক্ষিকার সার্বিক সহযোগীতা ও সহমর্মিতা কামনা করছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত