নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : শামীম ওসমান বলেছেন, বেশি খোঁচাখুঁচি কইরেন না। তাহলে ভালো হবে না। ভিমরুলে চাকে খোঁচা দিলে ফল ভালো হয় না। আপনি যেখানে সেখানে আমাকে আর সেলিম ভাইকে নিয়া খোঁচা দিচ্ছেন। মুরুব্বি মুরুব্বির মতো থাইকেন। বেশি খোঁচাইয়েন না। আমি সেলিম ওসমান না, আমি নাসিম ওসমান না। ‘আমাদের গায়ে খোঁচা দিবেন না। আমাদের গায়ে খোঁচা দিয়ে আপনি তো পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু যাদেরকে মাঠে নামাচ্ছেন তারা তো সবাই নারায়ণগঞ্জেই থাকবে। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দরের সমরক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের এক নির্বাচনী কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বন্দর থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এ কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে নতুন কইরা গজাইছে আরেকজন। তার নাম এসএম আকরাম। আমি দেখি এই নির্বাচন নিয়া মাথা ঘামাইনি। কারণ, আল্লাহ চাইলে জনগণ ভোট দিলে সেলিম ওসমান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। কিন্তু, উনি প্রতিনিয়ত উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে সেলিম ভাইয়াকে আমাকে নিয়ে খোঁচাখুঁচি করছেন। এসএম আকরাম সাহেব আপনাকে বলি, নারায়ণগঞ্জে আপনি একাই দল আনেন নাই। বিএনপি’র কিছু ভাইদের বলি, নির্বাচনের পরদিন তারে এখানে আর পাবেন না। উনি চলে যাবেন উত্তরা ক্লাবে মদ খাইতে। উনার কাজ হচ্ছে মদ খাওয়া। আকরাম সাহেব, আমি পরিস্কার ভাষায় বলে দিচ্ছি, আমি রাস্তা থেকে ওঠে আসা আওয়ামী লীগের কর্মী। ২০১৬ জুনে আমাদের মৃত্যু হয়ে গেছে।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ হোসনে আরা বেগম বাবলী, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি ও আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াজেদ আলী খোকন, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল।
শামীম ওসান বলেন, আমার অবাক লাগে বিএনপি বিএনপি আবুল কালাম ভাইয়ের মতো লোককে লাত্থি দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আমার অবাক লাগে তৈমূর আলমের মতো মানুষকে লাত্থি দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমার অবাক লাগে গিয়াস উদ্দিন ভাইয়ের মতো লোককে বিএনপি থেকে লাত্থি দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শাহ আলমের মতো মানুষকে মনোনয়ন দিয়ে আবার তা কেড়ে নিয়ে একজন জঙ্গিকে দিয়েছে। আমার আসনে একজন জঙ্গিকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। আজকে এই আছর আর মাগরিবের সময় বলে যেতে চাই, নিশ্চিন্ত থাকেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। কোন শক্তি নাই তাকে সরাবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, গোপিনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক এড. নূরুল হুদা, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. সানাউল্লাহ, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান বেগম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, যুবলীগ নেতা ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানসহ কয়েকশত নেতাকর্মীবৃন্দ।