কে করেছে হামলা !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষে প্রতবিদেক ) : সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতিয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে হামলায় ভাংচুরের ঘটনায় ১৪ দিন অতিবাহিত হয়েছে। ওইসময় জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু স্থানীয় এক নেতা সহ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে দাবী করলেও এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেননি তিনি। আর আইনগতভাবে কোন তদন্ত কার্যক্রম না হওয়ায় আড়ালেই রয়ে গেছে নৈপথ্যের কারিগররা।

স্থানীয় অনেকেই সন্দেহের ঈঙ্গিতে বলছেন, সেদিন হামলা কি হয়েছিল না ঘটানো হয়ছে। তা বের করা খুবই জরুরী। তাছাড়া এর আগের দিনও মহাসড়কে থাকা প্রায় তিন শতাধিক ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। শোকাবহ মাসে এমন কার্যক্রম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

আবার নেতাকর্মীদের কেউ কেউ বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এ হামলা করেছে প্রতিপক্ষ। তবে দল ক্ষমতায় থাকতে কারা এ ধরণের কর্মকান্ড করলো। যারা করেছে তারা কি অন্য দলের? ওরা কারা? কিংবা প্রতিহিংসার কারণেও যদি করে থাকে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়া উচিৎ। প্রয়োজনে দল থেকে বহিস্কার করা হোক।

এদিকে, ঘটনার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও পাল্টা বক্তব্য দেখা গেলেও আচমকাই এমন রহস্যজনক নিরবতায় শোক দিবসের ঘটনাটি নিয়ে এখন নানারূপ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাছাড়া এক বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কায়সার হাসনাত বলেছিলেন, কারো ব্যক্তি’র দায় দল নিবে না। আর যে অনুষ্ঠানকে ঘিরে এই ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। তা সম্পূর্ণ দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে করা হয়েছে। আর এ বিষয়ে আমিও যদি বলি তিনি নিজে করিয়ে অন্যদের অভিযোগ দিচ্ছে তাও দলের জন্য শোভা পায় না। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে উপজেলা নেতা হিসেবে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরুর ব্যবহৃত মুঠোফোনের নাম্বারে কল দিলে উনার এক সহযোগী জানায়, বিরু স্যার এখন অপারেশনে আছেন তাই এখন কথা বলা সম্ভব নয়। তাই এ বিষয়ে তার কোন মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কায়সার হাসনাত জানায়, আমি ওই ঘটনাকে এখন বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই বলবো। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ঘটনার পরই দলের স্বার্থে নিজে উদ্যোগে আমরা একটি জরুরী বর্ধিত সভা ডাকি। সেখানে ১৫ আগস্টের শোক দিবসের পরবর্তি কার্যক্রম ও সাংগঠনিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। যেহেতু বিরু এই উপজেলা সদস্য তাকেও বলা হয়েছে। তিনি উপস্থিত হননি। মেজরিটি ২০ জনের মধ্যে সেদিন দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। আরেকজন তিনি পরে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন এবং সিদ্ধান্ত শুনেছেন। তবে ওই ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় তার বক্তব্য শুনলে দেখলেও আমাদের তিনি কিছুই জানাননি। আর উনি আসলে আওয়ামীলীগ করে কিনা বুঝতে পারছিনা। তাছাড়া কোন লিখিত অভিযোগও করেনি। সেক্ষত্রে বিনা অভিযোগে কিভাবে বিষয়টি নেয়ে দেখবো। হ্যাঁ তবে আমিও চাই বের হোক। কিন্তু আমার কাছে এটা এখন বিচ্ছিন্ন ঘটনাই। যেহেতু তিনি দলের সিদ্ধান্তে বাহিরে সেদিন এককভাবে অনুষ্ঠান করেছিলেন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানায়, ঘটনার পর আমি এবং ইউএনও স্যার পরিদর্শন করেছিলাম। বিরু ভাইয়ের সাথে কথাও হয়েছে। তবে এ নিয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এমনি মৌখিকভাবে তিনি বলেছিল। আমরা অভিযোগ পেলে হয়তো আইন অনুযায়ী অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতাম।

add-content

আরও খবর

পঠিত